বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালতে আওয়ামী-বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হাতাহাতি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা খান ওরফে জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার রায় আজ। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত বিকেলে মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন। এ রায়কে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি চলছে। দুপুর থেকেই দুই পক্ষের আইনজীবীদের স্লোগানের সাথে চলছে ধাক্কা দেয়ার এমন পেশি শক্তির লড়াই। পাশেই পুলিশের বাড়তি মোতায়েন থাকলেও তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আমরা যুক্তি উপস্থাপন শেষে তাদের দুই ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১৩ বছর কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছি।

এদিকে বিভিন্ন মামলায় তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত হলেও জোবায়দার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলায় রায় হতে যাচ্ছে। দুদকের এ মামলার রায়ে তারেক রহমানের পাশাপাশি জোবায়দা রহমানেরও দুই বছরের বেশি সাজা হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কারো দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়। এরআগে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। এছাড়া দণ্ডিত আসামি হিসেবে বিদেশে পলাতক তারেক রহমানও নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ হারিয়েছেন।

এরআগে গত ২৪ জুলাই দুদক মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ২৭ জুলাই মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। তারেক-জোবায়দা পলাতক থাকায় এরআগে এ মামলায় গত বছরের ১ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এদিকে মামলা থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় জোবায়দা রহমানে মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়েছিল। পরে তিনি মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়।-ভোরের কাগজ 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়েছিলাম’

আদালতে আওয়ামী-বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হাতাহাতি

প্রকাশিত সময় : ০৪:৫১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা খান ওরফে জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার রায় আজ। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত বিকেলে মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন। এ রায়কে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি চলছে। দুপুর থেকেই দুই পক্ষের আইনজীবীদের স্লোগানের সাথে চলছে ধাক্কা দেয়ার এমন পেশি শক্তির লড়াই। পাশেই পুলিশের বাড়তি মোতায়েন থাকলেও তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আমরা যুক্তি উপস্থাপন শেষে তাদের দুই ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১৩ বছর কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছি।

এদিকে বিভিন্ন মামলায় তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত হলেও জোবায়দার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলায় রায় হতে যাচ্ছে। দুদকের এ মামলার রায়ে তারেক রহমানের পাশাপাশি জোবায়দা রহমানেরও দুই বছরের বেশি সাজা হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কারো দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়। এরআগে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। এছাড়া দণ্ডিত আসামি হিসেবে বিদেশে পলাতক তারেক রহমানও নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ হারিয়েছেন।

এরআগে গত ২৪ জুলাই দুদক মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ২৭ জুলাই মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। তারেক-জোবায়দা পলাতক থাকায় এরআগে এ মামলায় গত বছরের ১ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এদিকে মামলা থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় জোবায়দা রহমানে মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়েছিল। পরে তিনি মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়।-ভোরের কাগজ