বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর আদালতে বিএনপি নেতা মিলনের জামিন নামঞ্জুর, জেল হাজতে প্রেরণ

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া মডেল থানায় করা পেইন্ডিং মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে শ্যোন র‌্যাসেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বিকেলে মিলনকে ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে থেকে রাজশাহী আনা হয়। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর সিএমএম-৪ আদালতে আনা হয়। এ সময়ে আদালত চত্বরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়। পুলিশ, গোয়েন্দাসহ সিভিল পুলিশ অত্র এলাকা ঘিরে রাখে। এরমধ্যে রাজশাহী মহানগরসহ তাঁর নির্বাচনী এলাকা পবা-মোহন থেকে শত শত নেতাকর্মী আসেন আদালত চত্বরে। হাজারো নেতাকর্মী এক নজর তাদের প্রিয় নেতাকে দেখার জন্য আদালতের সামনে ভীড় করেন। ভীড় সামলাত পুলিশ হিমশিম খায়। এ সময়ে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে ধন্যবাদ জানান। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে শফিকুল হক মিলনকে রাজশাহীর সিএমএম-৪ আদালতে তুললে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। মিলনের আইনজীবী আলহাজ¦ আলী আশরাফ মাসুম বলেন, বিএনপি নেতা এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। তিনি ২৮ জুলাই বিএনপি’র মহাবেশে যোগ দিতে গেলে তিনি ঢাকায় গেলে ২৭ জুলাই রাতে তাঁকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে গত ৬ আগস্ট আদালত এডভোকেট শফিকুল হক মিলন, আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল ও মিজানুর রহমান মিজানকে জামিন দেয়া হয। তাঁর সকলেই জেল গেটে আসলে উজ্জল ও মিজানকে ছেড়ে দিলেও জেলগেট থেকে দুইটি মামলায় আবারও আটক দেখিয়ে এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে ফের জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। তিনি আরো বলেন, যে গায়েবী দুইটি পেইন্ডিং মামলায় তাঁকে আটক দেখানো হয়েছে তার মামলা নং ৩৬। মামলাটি দেখানো হয়েছে ১৯-০৫-২০২৩ইং এবং আরেকটি মামলা নং-৪৬, এটা দেখানো হয়েছে ২৪-০৫-২০২৩ইং তারিখ। তিনি বলেন, এ সকল রাজনৈতিক মামলা। তবে দ্রুত তিনি জামিন পাবেন বলে আশা করেন তিনি। এদিকে মিলনের মুক্তির দাবীতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসন উজ্জল, রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য অদ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, শেখ মকবুল হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান, বিএনপি বোয়ালিয়া থানার সাবেক সাধারণ স্মপাদক রবিউল আলম মিলু ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুর কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান আহমেদ, স্বেচ্চাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাজশাহী মহানগর স্বেচ্চাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন। আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মর্ত্তুজা ফামিন, বর্তমান সভাপতি আকবর আলী জ্যাকিসহ রাজশাহী মহানগর ও থানা এবং পবা-মোহনপুরসহ জেলার বিভিন্ন থানার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীবৃন্দ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়েছিলাম’

রাজশাহীর আদালতে বিএনপি নেতা মিলনের জামিন নামঞ্জুর, জেল হাজতে প্রেরণ

প্রকাশিত সময় : ০৬:২৫:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া মডেল থানায় করা পেইন্ডিং মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে শ্যোন র‌্যাসেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বিকেলে মিলনকে ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে থেকে রাজশাহী আনা হয়। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর সিএমএম-৪ আদালতে আনা হয়। এ সময়ে আদালত চত্বরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়। পুলিশ, গোয়েন্দাসহ সিভিল পুলিশ অত্র এলাকা ঘিরে রাখে। এরমধ্যে রাজশাহী মহানগরসহ তাঁর নির্বাচনী এলাকা পবা-মোহন থেকে শত শত নেতাকর্মী আসেন আদালত চত্বরে। হাজারো নেতাকর্মী এক নজর তাদের প্রিয় নেতাকে দেখার জন্য আদালতের সামনে ভীড় করেন। ভীড় সামলাত পুলিশ হিমশিম খায়। এ সময়ে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে ধন্যবাদ জানান। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে শফিকুল হক মিলনকে রাজশাহীর সিএমএম-৪ আদালতে তুললে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। মিলনের আইনজীবী আলহাজ¦ আলী আশরাফ মাসুম বলেন, বিএনপি নেতা এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। তিনি ২৮ জুলাই বিএনপি’র মহাবেশে যোগ দিতে গেলে তিনি ঢাকায় গেলে ২৭ জুলাই রাতে তাঁকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে গত ৬ আগস্ট আদালত এডভোকেট শফিকুল হক মিলন, আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল ও মিজানুর রহমান মিজানকে জামিন দেয়া হয। তাঁর সকলেই জেল গেটে আসলে উজ্জল ও মিজানকে ছেড়ে দিলেও জেলগেট থেকে দুইটি মামলায় আবারও আটক দেখিয়ে এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে ফের জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। তিনি আরো বলেন, যে গায়েবী দুইটি পেইন্ডিং মামলায় তাঁকে আটক দেখানো হয়েছে তার মামলা নং ৩৬। মামলাটি দেখানো হয়েছে ১৯-০৫-২০২৩ইং এবং আরেকটি মামলা নং-৪৬, এটা দেখানো হয়েছে ২৪-০৫-২০২৩ইং তারিখ। তিনি বলেন, এ সকল রাজনৈতিক মামলা। তবে দ্রুত তিনি জামিন পাবেন বলে আশা করেন তিনি। এদিকে মিলনের মুক্তির দাবীতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসন উজ্জল, রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য অদ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, শেখ মকবুল হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান, বিএনপি বোয়ালিয়া থানার সাবেক সাধারণ স্মপাদক রবিউল আলম মিলু ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুর কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান আহমেদ, স্বেচ্চাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাজশাহী মহানগর স্বেচ্চাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন। আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মর্ত্তুজা ফামিন, বর্তমান সভাপতি আকবর আলী জ্যাকিসহ রাজশাহী মহানগর ও থানা এবং পবা-মোহনপুরসহ জেলার বিভিন্ন থানার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীবৃন্দ।