মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রিয়জনের মানসিক কষ্টে করণীয়

মানসিক কষ্ট বা অবসাদ থেকে ভয়, দুঃখ এবং উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এই সময় মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। তখন তার পাশে কেউ থাকলে নিরাপদ বোধ করে।

গবেষকদের মতে, প্রিয়জনের যেকোনো কষ্টে সঙ্গী পাশে থাকলে তাদের সম্পর্ক আরো মজবুত হয়। একটি সান্ত্বনাদায়ক হাত সম্পর্ককে আরো উন্নত করে।

প্রিয়জনের মানসিক কষ্টে করণীয় সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ: প্রিয়জনকে শান্ত করার আগে যা করতে হবে তা হলো নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। তাহলে প্রিয়জনকেও শান্ত করতে পারবেন। তার মধ্যে কষ্টের নেতিবাচক প্রভাবও কমে আসবে।

স্পর্শ: যে কষ্টে আছেন তার জন্য শারীরিক স্পর্শ গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও একটি স্পর্শ তাকে মনে করাতে পারে যে সে নিরাপদ। তাহলে সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। প্রিয়জনের স্পর্শ এমন এক অুভূতি যার মাধ্যমে ইতিবাচক শক্তি স্থানান্তর হয়।

একা থাকার সুযোগ করে দেওয়া: কখনও কখনও কষ্টে থাকলে মানুষ একা থাকতে, নিজের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে চায়। আর তাই প্রিয়জনকে এ সুযোগটা করে দেওয়া উচিত।

যাচাই করুন: প্রিয়জন কিসে কষ্ট পাচ্ছে তা ভালো করে যাচাই করুন। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করুন। এতে প্রিয়জনের কষ্ট আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং তার মন শান্ত হতে সহায়তা করবে।

জিজ্ঞাসা করুন: মানসিক কষ্টে থাকলে কীভাবে প্রিয়জনকে সাহায্য করা উচিত তা নিয়ে আমরা বিভ্রান্ত বোধ করি। কিন্তু এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধা করা উচিত নয়।সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

প্রিয়জনের মানসিক কষ্টে করণীয়

প্রকাশিত সময় : ০৯:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

মানসিক কষ্ট বা অবসাদ থেকে ভয়, দুঃখ এবং উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এই সময় মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। তখন তার পাশে কেউ থাকলে নিরাপদ বোধ করে।

গবেষকদের মতে, প্রিয়জনের যেকোনো কষ্টে সঙ্গী পাশে থাকলে তাদের সম্পর্ক আরো মজবুত হয়। একটি সান্ত্বনাদায়ক হাত সম্পর্ককে আরো উন্নত করে।

প্রিয়জনের মানসিক কষ্টে করণীয় সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ: প্রিয়জনকে শান্ত করার আগে যা করতে হবে তা হলো নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। তাহলে প্রিয়জনকেও শান্ত করতে পারবেন। তার মধ্যে কষ্টের নেতিবাচক প্রভাবও কমে আসবে।

স্পর্শ: যে কষ্টে আছেন তার জন্য শারীরিক স্পর্শ গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও একটি স্পর্শ তাকে মনে করাতে পারে যে সে নিরাপদ। তাহলে সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। প্রিয়জনের স্পর্শ এমন এক অুভূতি যার মাধ্যমে ইতিবাচক শক্তি স্থানান্তর হয়।

একা থাকার সুযোগ করে দেওয়া: কখনও কখনও কষ্টে থাকলে মানুষ একা থাকতে, নিজের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে চায়। আর তাই প্রিয়জনকে এ সুযোগটা করে দেওয়া উচিত।

যাচাই করুন: প্রিয়জন কিসে কষ্ট পাচ্ছে তা ভালো করে যাচাই করুন। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করুন। এতে প্রিয়জনের কষ্ট আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং তার মন শান্ত হতে সহায়তা করবে।

জিজ্ঞাসা করুন: মানসিক কষ্টে থাকলে কীভাবে প্রিয়জনকে সাহায্য করা উচিত তা নিয়ে আমরা বিভ্রান্ত বোধ করি। কিন্তু এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধা করা উচিত নয়।সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস