বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় দুটি ধর্ষণের মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

নওগাঁয় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ও মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে কাজল মালি ও হ্যাপি নামে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।সোমবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১ টায়  নওগাঁর নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত বিশেষ কৌশলী মো. মকবুল হোসেন জানান, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী নারী তার বাড়ির পিছনে শুকনো পাতা ঝাড়ু দিতে গেলে একই গ্রামের কাজল মালি মুখে গামছা চেপে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। প্রতিবন্ধী নারীর স্বামী এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১ এপ্রিল পত্নীতলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ২০২২ সালে ৮ জুন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শ্রবণ শেষে আজ রায় ঘোষণা দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার। রায়ে আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন। জরিমানার অর্থ ধর্ষণের শিকার নারীকে প্রদানের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সোমেন্দ্র নাথ কুন্ডু। অপর মামলাটি ২০১৪ সালের। ঐ বছরের ১০ জানুয়ারি মাদ্রাসা ছাত্রী আসমা খাতুন (ছদ্মনাম) নানীর বাড়ি যাওয়ার পথে কাশিতাড়া এলাকার হারুন শাহের আমবাগানে ধর্ষণের শিকার হন। রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন ছাত্রীর নানাকে খবর দেয়। তিনি উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করান। পোরশা থানায় ছাত্রীর নানা অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পোরশা থানার গোবরাকুড়ি এলাকার মো. ওসমানের পুত্র হ্যাপির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলাটির রায়ে পলাতক আসামি হ্যাপিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করেন বিচারক। জরিমানার টাকা ধর্ষণের শিকার নারীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়েছিলাম’

নওগাঁয় দুটি ধর্ষণের মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত সময় : ০৪:১২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

নওগাঁয় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ও মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে কাজল মালি ও হ্যাপি নামে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।সোমবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১ টায়  নওগাঁর নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত বিশেষ কৌশলী মো. মকবুল হোসেন জানান, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী নারী তার বাড়ির পিছনে শুকনো পাতা ঝাড়ু দিতে গেলে একই গ্রামের কাজল মালি মুখে গামছা চেপে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। প্রতিবন্ধী নারীর স্বামী এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১ এপ্রিল পত্নীতলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ২০২২ সালে ৮ জুন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শ্রবণ শেষে আজ রায় ঘোষণা দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার। রায়ে আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন। জরিমানার অর্থ ধর্ষণের শিকার নারীকে প্রদানের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সোমেন্দ্র নাথ কুন্ডু। অপর মামলাটি ২০১৪ সালের। ঐ বছরের ১০ জানুয়ারি মাদ্রাসা ছাত্রী আসমা খাতুন (ছদ্মনাম) নানীর বাড়ি যাওয়ার পথে কাশিতাড়া এলাকার হারুন শাহের আমবাগানে ধর্ষণের শিকার হন। রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন ছাত্রীর নানাকে খবর দেয়। তিনি উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করান। পোরশা থানায় ছাত্রীর নানা অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পোরশা থানার গোবরাকুড়ি এলাকার মো. ওসমানের পুত্র হ্যাপির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলাটির রায়ে পলাতক আসামি হ্যাপিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করেন বিচারক। জরিমানার টাকা ধর্ষণের শিকার নারীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।