কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় এক প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন দুই যুবক। এর জেরে এক প্রেমিকের বাড়িতে অন্য প্রেমিকের নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাঙ্গলকোটের মৌকরা ইউনিয়নের আলীয়ারা গ্রামের আইডন গাজীর বাড়িতে এ হামলা হয়। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন আলীয়ারা গ্রামের হাসান, মুন্না, শহীদুল ও শুভ।
স্থানীয়রা জানান, নাঙ্গলকোটের মোকারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আলিয়ারা গ্রামে এক তরুণী সঙ্গে এমরান ও সাগরের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মোবাইল ফোনে তারা দ্বন্দ্বে জড়ান। পরে গতকাল সাগরের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এমরানের বাড়িতে হামলা করে ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।
ভুক্তভোগী এমরান বলেন, ‘গ্রামের একটা মেয়ের সঙ্গে আমার মোবাইলে কথা হতো। ওই মেয়েটা পৌঁছির গ্রামের সাগরের সঙ্গে প্রেম করে—এটা আমি জানতাম না। এ নিয়ে সাগর এক দিন মোবাইলে হুমকি দেয়। পরে গতকাল সাগর ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে এসে আমার বাড়িতে হামলা করে ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।’
অভিযুক্ত সাগর বলেন, ‘মেয়েটি একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করত। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে মোবাইলে কথা হতো। কিন্তু আলিয়ারা গ্রামের এমরানের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল—এটা জানতাম না। এমরান ওই মেয়ের মোবাইলে আমার নম্বর পেয়ে বিভিন্ন ধরনের গালমন্দ করে। গতকাল কয়েকজন মিলে এমরানের পরিবারের কাছে বিচার দিয়ে আসার পথে রাস্তায় আমাদের ওপর তারা হামলা করেন। আমরা তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছি—বিষয়টি সত্য নয়।’
এই বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নিশাত বড়ুয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা একটি রামদা ও মাছ শিকারের কোচ পুলিশকে দিয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























