রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনার এমআরএনএ টিকার প্রযুক্তি আবিষ্কার, চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুজন

চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই বিজ্ঞানী। তারা এমন এক প্রযুক্তি তৈরি করেন, যেটি এমআরএনএ কোভিড টিকা তৈরিতে অবদান রাখে। সোমবার এই পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। নোবেল পাওয়া দুই বিজ্ঞানী হলেন,কাটালিন কারিকো ও  ড্রু ওয়েইসম্যান। খবর বিবিসি। মহামারি শুরুর আগে এই প্রযুক্তি ছিল পরীক্ষামূলক। তবে এখন এই প্রযুক্তিতে তৈরি টিকা এখন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে দেওয়া হয়েছে। ক্যানসারসহ অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে একই ধরনের এমআরএনএ প্রযুক্তি নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। নোবেল কমিট বলছে, আধুনিক যুগে মানবস্বাস্থ্যের বড় হুমকির সময়ে এই দুই বিজ্ঞানী নজিরবিহীন হারে টিকা তৈরিতে অবদান রাখেন। টিকা মানবদেহের ইমিউন সিস্টেমকে প্রশিক্ষণ দেয়, যাতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মতো হুমকি শনাক্ত করতে পারে এবং এদের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।

প্রচলিত টিকা প্রযুক্তি প্রকৃত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মৃত বা দুর্বল সংস্করণ ব্যবহার করে বা সংক্রামক এজেন্টের টুকরো ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।

বিপরীতে এমআরএন টিকাগুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে।করোনা মহামারির সময়ে মডার্না ও ফাইজার/ বায়োনটেক টিকাগুলো এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যান ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনির্ভার্সটি অব পেনসেলভেনিয়ায় প্রথম একত্রে কাজ করতে শুরু করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

করোনার এমআরএনএ টিকার প্রযুক্তি আবিষ্কার, চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুজন

প্রকাশিত সময় : ০৫:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই বিজ্ঞানী। তারা এমন এক প্রযুক্তি তৈরি করেন, যেটি এমআরএনএ কোভিড টিকা তৈরিতে অবদান রাখে। সোমবার এই পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। নোবেল পাওয়া দুই বিজ্ঞানী হলেন,কাটালিন কারিকো ও  ড্রু ওয়েইসম্যান। খবর বিবিসি। মহামারি শুরুর আগে এই প্রযুক্তি ছিল পরীক্ষামূলক। তবে এখন এই প্রযুক্তিতে তৈরি টিকা এখন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে দেওয়া হয়েছে। ক্যানসারসহ অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে একই ধরনের এমআরএনএ প্রযুক্তি নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। নোবেল কমিট বলছে, আধুনিক যুগে মানবস্বাস্থ্যের বড় হুমকির সময়ে এই দুই বিজ্ঞানী নজিরবিহীন হারে টিকা তৈরিতে অবদান রাখেন। টিকা মানবদেহের ইমিউন সিস্টেমকে প্রশিক্ষণ দেয়, যাতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মতো হুমকি শনাক্ত করতে পারে এবং এদের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।

প্রচলিত টিকা প্রযুক্তি প্রকৃত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মৃত বা দুর্বল সংস্করণ ব্যবহার করে বা সংক্রামক এজেন্টের টুকরো ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।

বিপরীতে এমআরএন টিকাগুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে।করোনা মহামারির সময়ে মডার্না ও ফাইজার/ বায়োনটেক টিকাগুলো এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যান ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনির্ভার্সটি অব পেনসেলভেনিয়ায় প্রথম একত্রে কাজ করতে শুরু করেন।