রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদির

গত কয়েক দশকের মধ্যে ইসরাইলে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বলা হচ্ছে, বিগত ৭৫ বছরে এমন হামলা দেখেনি ইসরাইল। ফিলিস্তিনিদের ওপর দীর্ঘদিনের দমন-পীড়ন ও দখলদারিত্বের জেরে শনিবার হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, শনিবার (৭ অক্টোবর) আকাশ, স্থল ও জলপথ থেকে ইসরাইলে অন্তত পাঁচ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এর জবাবে পালটা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। অবরুদ্ধ গাজায় অবস্থানরত হামাসের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে তারা। দুই পক্ষের পালটাপালটি হামলায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের কমপক্ষে চার শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গাজা উপত্যকার সীমান্ত বেড়া অতিক্রম করে ইসরাইলের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে ঢুকে পড়ে হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা। হামাসের এ হামলার পরই নিজের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই টুইটে হামাসের হামলার নিন্দা এবং এমন কঠিন মুহূর্তে ইসরাইলের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন— ‘ইসরাইলে সন্ত্রাসী হামলার খবরে বিস্মিত হয়েছি। নিরীহ নিহত মানুষ ও তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা এবং সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এমন কঠিন মুহূর্তে আমরা ইসরাইলের পক্ষে আছি।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, নেদারল্যান্ডসের মার্ক রুট্টে এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ হামাসের এ ‘অভিযানকে’ সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারাও এমন দুঃসময়ে ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শনিবারের এ হামলার জন্য ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলো হামাসকেই দায়ী করছে। তবে এর পেছনের যে কাহিনি রয়েছে, সেটি কোনো পশ্চিমা নেতাই উল্লেখ করছেন না বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমটির কূটনৈতিক এডিটর জেমস বায়ে। গত কয়েক মাস ধরে ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছিল। আর এসব অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। অন্যদিকে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হামাসের ওপর চাপ বাড়ছিল। এসব চাপের মধ্যেই সবাইকে চমকে দিয়ে শনিবার ইসরাইলে ব্যাপক হামলা চালায় হামাস।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদির

প্রকাশিত সময় : ০৫:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

গত কয়েক দশকের মধ্যে ইসরাইলে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বলা হচ্ছে, বিগত ৭৫ বছরে এমন হামলা দেখেনি ইসরাইল। ফিলিস্তিনিদের ওপর দীর্ঘদিনের দমন-পীড়ন ও দখলদারিত্বের জেরে শনিবার হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, শনিবার (৭ অক্টোবর) আকাশ, স্থল ও জলপথ থেকে ইসরাইলে অন্তত পাঁচ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এর জবাবে পালটা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। অবরুদ্ধ গাজায় অবস্থানরত হামাসের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে তারা। দুই পক্ষের পালটাপালটি হামলায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের কমপক্ষে চার শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গাজা উপত্যকার সীমান্ত বেড়া অতিক্রম করে ইসরাইলের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে ঢুকে পড়ে হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা। হামাসের এ হামলার পরই নিজের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই টুইটে হামাসের হামলার নিন্দা এবং এমন কঠিন মুহূর্তে ইসরাইলের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন— ‘ইসরাইলে সন্ত্রাসী হামলার খবরে বিস্মিত হয়েছি। নিরীহ নিহত মানুষ ও তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা এবং সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এমন কঠিন মুহূর্তে আমরা ইসরাইলের পক্ষে আছি।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, নেদারল্যান্ডসের মার্ক রুট্টে এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ হামাসের এ ‘অভিযানকে’ সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারাও এমন দুঃসময়ে ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শনিবারের এ হামলার জন্য ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলো হামাসকেই দায়ী করছে। তবে এর পেছনের যে কাহিনি রয়েছে, সেটি কোনো পশ্চিমা নেতাই উল্লেখ করছেন না বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমটির কূটনৈতিক এডিটর জেমস বায়ে। গত কয়েক মাস ধরে ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছিল। আর এসব অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। অন্যদিকে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হামাসের ওপর চাপ বাড়ছিল। এসব চাপের মধ্যেই সবাইকে চমকে দিয়ে শনিবার ইসরাইলে ব্যাপক হামলা চালায় হামাস।