রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১১ লাখ গাজাবাসীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী১১ লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণাঞ্চলে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় রাত ১১টার সময় এই হুঁশিয়ারি দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবদেন থেকে এই তথ্য জানা যায়। শনিবার সকালে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা রকেট ও বোমা হামলা করে ইসরায়েলের বাহিনী। গাজা উপত্যকার নাগরিকরা আতঙ্কে ঘর ছাড়তে শুরু করেন। এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎসহ খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে দুই সহস্রাধিক মানুষ। বিমান হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় যেকোনো সময় স্থল অভিযান শুরু করতে পারে ইসরায়েল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস। এর প্রায় অর্ধেক মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে বাস করে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এত মানুষ চলে যাওয়া সম্ভব না। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানায়, ‘এত অল্প সময়ে এত মানুষের সরে যাওয়া সম্ভব নয়। এতে চরম মানবিক পরিণতি হতে পারে।’ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত গাজায় তারা ছয় হাজার বোমা নিক্ষেপ করেছে। এসব বোমার ওজন চার হাজার টন। এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বিভিন্ন ধরনের লিফলেট ফেলা হয়েছে। এতে গাজার বাসিন্দাদের অবিলম্বে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা গাজা উপত্যকায় নজিরবিহীন মানবিক সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১১ লাখ গাজাবাসীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত সময় : ০৯:২৬:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী১১ লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণাঞ্চলে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় রাত ১১টার সময় এই হুঁশিয়ারি দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবদেন থেকে এই তথ্য জানা যায়। শনিবার সকালে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা রকেট ও বোমা হামলা করে ইসরায়েলের বাহিনী। গাজা উপত্যকার নাগরিকরা আতঙ্কে ঘর ছাড়তে শুরু করেন। এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎসহ খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে দুই সহস্রাধিক মানুষ। বিমান হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় যেকোনো সময় স্থল অভিযান শুরু করতে পারে ইসরায়েল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস। এর প্রায় অর্ধেক মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে বাস করে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এত মানুষ চলে যাওয়া সম্ভব না। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানায়, ‘এত অল্প সময়ে এত মানুষের সরে যাওয়া সম্ভব নয়। এতে চরম মানবিক পরিণতি হতে পারে।’ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত গাজায় তারা ছয় হাজার বোমা নিক্ষেপ করেছে। এসব বোমার ওজন চার হাজার টন। এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বিভিন্ন ধরনের লিফলেট ফেলা হয়েছে। এতে গাজার বাসিন্দাদের অবিলম্বে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা গাজা উপত্যকায় নজিরবিহীন মানবিক সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে তারা।