রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জায়গা নেই ইংল্যান্ডের জেলে, শাস্তি ঘোষণায় ‘নিষেধাজ্ঞা’

কয়েদিতে ভরে গিয়েছে দেশের সমস্ত জেল। তাই বিচারপতিদের নির্দেশ দেয়া হল, রায়দান আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত। এমনকি দোষী প্রমাণিত হয়ে যাওয়ার পরেও সাজা ঘোষণা করা যাচ্ছে না। ফলে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে ধর্ষকদের মতো ঘৃণ্য অপরাধীরাও। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি ইংল্যান্ডে। জানা গেছে, জেলের বোঝা কমাতে বেশ কিছু অপরাধীদের ছেড়ে দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিতে পারে প্রশাসন।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত জামিনে মুক্ত থাকা অপরাধীদের সাজা ঘোষণা করা যাবে না। তবে সূত্রের খবর, আপাতত সোমবার পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি করা হলেও তার পরে বেশ কিছুদিনের জন্য বলবৎ থাকবে এই নির্দেশ। কারণ, অত্যধিক বন্দিদের ভিড়ে ভরে উঠেছে ইংল্যান্ডের জেলগুলো। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকেই ইংল্যান্ডের প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন যে জেলে বন্দিদের সংখ্যা মাথায় রেখেই যেন অপরাধীদের সাজার নির্দেশ দেয়া হয়। এই মন্তব্যের পরেও বেশ ভালোরকম বেড়েছে ইংল্যান্ডে জেলবন্দির সংখ্যা।তবে প্রধান বিচারপতির এই সিদ্ধান্তের পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিচারকমহলও। তাদের বক্তব্য, বেশ কয়েকটি ধর্ষণের মামলায় ইতিমধ্যেই দোষী প্রমাণিত হয়েছে অভিযুক্তরা। তার মধ্যে রয়েছে এমন এক অভিযুক্ত, যে ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী প্রমাণিত হয়েছে। যদি সাজা না দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে নির্যাতিতার মনে কী প্রভাব পড়বে? বিচারব্যবস্থার প্রতি কি সে আস্থা রাখতে পারবে?

 

দীর্ঘদিন ধরেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জেলের অভাব দেখা দিয়েছে ইংল্যান্ডে। ২০১৯ সালে নির্বাচনের সময়ে কনজারভেটিভ পার্টির ইস্তেহারেও বলা হয় কুড়ি হাজার জেল তৈরি করা হবে। তবে নানা কারণে এখনও থেমে রয়েছে জেল তৈরির প্রক্রিয়া। সেই কারণেই আপাতত সাজার হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছে দাগি আসামীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

জায়গা নেই ইংল্যান্ডের জেলে, শাস্তি ঘোষণায় ‘নিষেধাজ্ঞা’

প্রকাশিত সময় : ১১:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

কয়েদিতে ভরে গিয়েছে দেশের সমস্ত জেল। তাই বিচারপতিদের নির্দেশ দেয়া হল, রায়দান আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত। এমনকি দোষী প্রমাণিত হয়ে যাওয়ার পরেও সাজা ঘোষণা করা যাচ্ছে না। ফলে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে ধর্ষকদের মতো ঘৃণ্য অপরাধীরাও। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি ইংল্যান্ডে। জানা গেছে, জেলের বোঝা কমাতে বেশ কিছু অপরাধীদের ছেড়ে দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিতে পারে প্রশাসন।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত জামিনে মুক্ত থাকা অপরাধীদের সাজা ঘোষণা করা যাবে না। তবে সূত্রের খবর, আপাতত সোমবার পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি করা হলেও তার পরে বেশ কিছুদিনের জন্য বলবৎ থাকবে এই নির্দেশ। কারণ, অত্যধিক বন্দিদের ভিড়ে ভরে উঠেছে ইংল্যান্ডের জেলগুলো। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকেই ইংল্যান্ডের প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন যে জেলে বন্দিদের সংখ্যা মাথায় রেখেই যেন অপরাধীদের সাজার নির্দেশ দেয়া হয়। এই মন্তব্যের পরেও বেশ ভালোরকম বেড়েছে ইংল্যান্ডে জেলবন্দির সংখ্যা।তবে প্রধান বিচারপতির এই সিদ্ধান্তের পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিচারকমহলও। তাদের বক্তব্য, বেশ কয়েকটি ধর্ষণের মামলায় ইতিমধ্যেই দোষী প্রমাণিত হয়েছে অভিযুক্তরা। তার মধ্যে রয়েছে এমন এক অভিযুক্ত, যে ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী প্রমাণিত হয়েছে। যদি সাজা না দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে নির্যাতিতার মনে কী প্রভাব পড়বে? বিচারব্যবস্থার প্রতি কি সে আস্থা রাখতে পারবে?

 

দীর্ঘদিন ধরেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জেলের অভাব দেখা দিয়েছে ইংল্যান্ডে। ২০১৯ সালে নির্বাচনের সময়ে কনজারভেটিভ পার্টির ইস্তেহারেও বলা হয় কুড়ি হাজার জেল তৈরি করা হবে। তবে নানা কারণে এখনও থেমে রয়েছে জেল তৈরির প্রক্রিয়া। সেই কারণেই আপাতত সাজার হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছে দাগি আসামীরা।