শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ভয়-আতঙ্ক’ নিয়েই পথে যাত্রীরা, গণপরিবহন কম

রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশে সহিংসতা ও হরতালের ডাকে দীর্ঘ দিন পর উত্তপ্ত হয়েছে রাজনীতির মাঠ। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল-সন্ধ্যা দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিলেও বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের রাজ পথে দেখা যায়নি।

এদিকে রাজনৈতিক কর্মীরা মাঠে না থাকলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে সবখানে। তবু কর্মজীবী মানুষের জীবন থেমে নেই। রোববার থেকেই বিভিন্ন উপায়ে নিজ কর্মস্থলে ছুটছেন কর্মজীবীরা। আজ রাজধানীর মিরপুর এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুরের ১, ২, ১০, ১২, ১৩ নম্বর থেকে বিভিন্ন রুটের বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় ছেড়ে যাওয়া বাসের সংখ্যা অনেক কম। সড়কে গাড়ির সংখ্যা কম হলেও যাত্রী ছিল অনেক বেশি। অনেকে আবার সিএনজি ও মোটরসাইকেলেও ছুটছেন নিজ গন্তব্যে।

বিআরটিসি বাসের হেলপার আলামিন বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনা আজকে ভালো যাত্রী পাচ্ছি। গাড়ি কম কিন্তু রাস্তায় যাত্রী অনেক। নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে সবার কাছ থেকে। তবে হরতালের কারণে আতঙ্ক তো আছেই।

ইতিহাস পরিবহনের চালক দুলাল বলেন, গতকাল গাড়ি চালাতে পারিনি। আজকে বাধ্য হয়েই আতঙ্ক নিয়ে বের হয়েছি। হরতাল হলেও আমার গাড়ি সাভারের দিকে যায়, আর ওইদিকে ঝুঁকি কম আছে। তারপরও রাস্তায় অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে পুলিশের সংখ্যা অনেক বেশি। পুলিশ, র‌্যাবের নিরাপত্তায় আশ্বস্ত হয়েই শঙ্কা নিয়ে গাড়ি বের করেছি।

নিউমার্কেটগামী কবীর নামের একজন বলেন, আমি নিউমার্কেটে একটা কোম্পানিতে চাকরি করি। হরতাল হলেও আজকে আমার অফিস খোলা। যে কোনো মূল্যে আমাকে অফিসে যেতে হবে। বাসা থেকে আজকে অফিসে না যেতে অনেক সুপারিশ করলেও পরিবারের কথা রাখতে পারিনি। বাধ্য হয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি এবং গাড়িও পেয়েছি।

ভয়-আতঙ্ক নিয়েই অফিসে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

সানজিদা নামের এক ব্যাংকার বলেন, আমি ব্যাংকে চাকরি করি এবং আমার অফিস কল্যাণপুরে। শঙ্কা-আতঙ্ক থাকলেও অফিসে যেতে হবে। এবারের হরতাল নিয়ে মনে ভয় আছে। কারণ, কখন কে বা কারা গাড়িতে ইটপাটকেল মারে বা আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ভয় হচ্ছে। তবে পুলিশি নিরাপত্তা ও রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় ভালো লাগছে। অন্যানদিন যেমন যানযট বা অনেক যাত্রীদের চাপ থাকে আজকে সেরকম কিছু নেই।

মিরুপুর-১ নম্বরের দায়িত্বরত এক পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, আমরা জনগণের যানমালের নিরাপত্তা দিতে সর্বদা প্রস্তুত আছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের যা যা করার তাই করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘ভয়-আতঙ্ক’ নিয়েই পথে যাত্রীরা, গণপরিবহন কম

প্রকাশিত সময় : ০৫:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশে সহিংসতা ও হরতালের ডাকে দীর্ঘ দিন পর উত্তপ্ত হয়েছে রাজনীতির মাঠ। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল-সন্ধ্যা দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিলেও বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের রাজ পথে দেখা যায়নি।

এদিকে রাজনৈতিক কর্মীরা মাঠে না থাকলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে সবখানে। তবু কর্মজীবী মানুষের জীবন থেমে নেই। রোববার থেকেই বিভিন্ন উপায়ে নিজ কর্মস্থলে ছুটছেন কর্মজীবীরা। আজ রাজধানীর মিরপুর এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুরের ১, ২, ১০, ১২, ১৩ নম্বর থেকে বিভিন্ন রুটের বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় ছেড়ে যাওয়া বাসের সংখ্যা অনেক কম। সড়কে গাড়ির সংখ্যা কম হলেও যাত্রী ছিল অনেক বেশি। অনেকে আবার সিএনজি ও মোটরসাইকেলেও ছুটছেন নিজ গন্তব্যে।

বিআরটিসি বাসের হেলপার আলামিন বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনা আজকে ভালো যাত্রী পাচ্ছি। গাড়ি কম কিন্তু রাস্তায় যাত্রী অনেক। নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে সবার কাছ থেকে। তবে হরতালের কারণে আতঙ্ক তো আছেই।

ইতিহাস পরিবহনের চালক দুলাল বলেন, গতকাল গাড়ি চালাতে পারিনি। আজকে বাধ্য হয়েই আতঙ্ক নিয়ে বের হয়েছি। হরতাল হলেও আমার গাড়ি সাভারের দিকে যায়, আর ওইদিকে ঝুঁকি কম আছে। তারপরও রাস্তায় অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে পুলিশের সংখ্যা অনেক বেশি। পুলিশ, র‌্যাবের নিরাপত্তায় আশ্বস্ত হয়েই শঙ্কা নিয়ে গাড়ি বের করেছি।

নিউমার্কেটগামী কবীর নামের একজন বলেন, আমি নিউমার্কেটে একটা কোম্পানিতে চাকরি করি। হরতাল হলেও আজকে আমার অফিস খোলা। যে কোনো মূল্যে আমাকে অফিসে যেতে হবে। বাসা থেকে আজকে অফিসে না যেতে অনেক সুপারিশ করলেও পরিবারের কথা রাখতে পারিনি। বাধ্য হয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি এবং গাড়িও পেয়েছি।

ভয়-আতঙ্ক নিয়েই অফিসে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

সানজিদা নামের এক ব্যাংকার বলেন, আমি ব্যাংকে চাকরি করি এবং আমার অফিস কল্যাণপুরে। শঙ্কা-আতঙ্ক থাকলেও অফিসে যেতে হবে। এবারের হরতাল নিয়ে মনে ভয় আছে। কারণ, কখন কে বা কারা গাড়িতে ইটপাটকেল মারে বা আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ভয় হচ্ছে। তবে পুলিশি নিরাপত্তা ও রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় ভালো লাগছে। অন্যানদিন যেমন যানযট বা অনেক যাত্রীদের চাপ থাকে আজকে সেরকম কিছু নেই।

মিরুপুর-১ নম্বরের দায়িত্বরত এক পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, আমরা জনগণের যানমালের নিরাপত্তা দিতে সর্বদা প্রস্তুত আছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের যা যা করার তাই করছি।