রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় শরণার্থী শিবিরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৫

গাজায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমানের দুই দফা বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১২০ জনের বেশি। আর আহত হয়েছে অন্তত ৭৭৭ জন। বৃহস্পতিবার গাজা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি প্রথম ও দ্বিতীয় দফা হামলায় হতাহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার বলেছেন, অসমানুপাতিক হামলা ‘যুদ্ধাপরাধ’ হতে পারে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলাকে ‘ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর’ বলে বর্ণনা করেছে। এই হামলায় কত শিশু হতাহত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ২৫ দিনে গাজায় ৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি শিশু নিহতে হয়েছে। ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিশুরা ইতিমধ্যেই অনেক বেশি সহ্য করেছে। শিশু হত্যা ও বন্দী করা বন্ধ করতে হবে।ইসরায়েল বলেছে, হামাস কমান্ডারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা হামাসের অ্যান্টিট্যাংক মিসাইল ইউনিটের প্রধান মুহাম্মাদ আসারকে হত্যা করেছে। সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, আসার গাজা জুড়ে হামাসের ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তার নেতৃত্বে হামাস বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।এ ব্যাপারে হামাসের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

গাজায় শরণার্থী শিবিরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৫

প্রকাশিত সময় : ০২:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

গাজায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমানের দুই দফা বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১২০ জনের বেশি। আর আহত হয়েছে অন্তত ৭৭৭ জন। বৃহস্পতিবার গাজা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি প্রথম ও দ্বিতীয় দফা হামলায় হতাহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার বলেছেন, অসমানুপাতিক হামলা ‘যুদ্ধাপরাধ’ হতে পারে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলাকে ‘ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর’ বলে বর্ণনা করেছে। এই হামলায় কত শিশু হতাহত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ২৫ দিনে গাজায় ৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি শিশু নিহতে হয়েছে। ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিশুরা ইতিমধ্যেই অনেক বেশি সহ্য করেছে। শিশু হত্যা ও বন্দী করা বন্ধ করতে হবে।ইসরায়েল বলেছে, হামাস কমান্ডারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা হামাসের অ্যান্টিট্যাংক মিসাইল ইউনিটের প্রধান মুহাম্মাদ আসারকে হত্যা করেছে। সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, আসার গাজা জুড়ে হামাসের ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তার নেতৃত্বে হামাস বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।এ ব্যাপারে হামাসের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।