রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় সবচেয়ে শক্তিশালী বিমান হামলা ইসরায়েলের

গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ বাধার পর গতকাল রবিবার গাজায় সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বিমানবাহিনী উত্তর-পশ্চিম গাজা, সমুদ্র সৈকত শরণার্থী ক্যাম্প— যা শাতি ক্যাম্প নামে পরিচিত— সেখানে সবচেয়ে বেশি বোমা হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাংবাদিক রুশদি আব্দুআলোফ এই তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গাজায় তীব্র বোমা হামলা চালানোর কথা জানিয়েছিলেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে হামলা চালাচ্ছি। আজ রাত এবং প্রতিদিন। আজ রাতে প্রচণ্ড হামলা হয়েছে। রবিবারের হামলার আগে আবারো গাজায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয় দখলদার ইসরায়েল। ফলে গাজায় এখন কি হচ্ছে সে ব্যাপারে কোনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা গাজার প্রাণকেন্দ্র গাজা সিটির ভেতর প্রবেশ করছে। আর সেনারা যেন ট্যাংক নিয়ে কোনো বাধা ছাড়াই গাজা সিটির ভেতর ঢুকতে পারে— সেই ব্যবস্থা করতে বোমা হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর প্রথমবার ট্যাংক ও অন্যান্য সাঁজোয়া যান নিয়ে গাজায় স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেনারা গাজায় ঢোকার আগ মুহূর্তে সেদিন রাতে তীব্র বোমা হামলা চালানো হয়েছিল।

৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতিশোধমূলক, নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। শুরুতে বিমান হামলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন সঙ্গে স্থল হামলাও চলছে। প্রায় এক মাসের এই হামলায় এখন পর্যন্ত নয় হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় চার হাজারই শিশু।

গেল শুক্রবার গাজা শহর থেকে দক্ষিণ গাজার দিকে আগাতে থাকা অ্যাম্বুলেন্স বহরের ওপর বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল। এবারও ইসরায়েল কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করে, অ্যাম্বুলেন্সে হামাসের যোদ্ধারা ছিলেন। এই হামলায় ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।

ব্যাপক হামলা সত্ত্বেও হামাসের রকেট নিক্ষেপ অবকাঠামোর তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ইসরায়েল। গত এক সপ্তাহজুড়ে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে গড়ে ১২টি করে রকেট ছুঁড়েছে হামাস। তবে ৩ নভেম্বর রকেটের সংখ্যা কমে ৯ হয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

গাজায় সবচেয়ে শক্তিশালী বিমান হামলা ইসরায়েলের

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ বাধার পর গতকাল রবিবার গাজায় সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বিমানবাহিনী উত্তর-পশ্চিম গাজা, সমুদ্র সৈকত শরণার্থী ক্যাম্প— যা শাতি ক্যাম্প নামে পরিচিত— সেখানে সবচেয়ে বেশি বোমা হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাংবাদিক রুশদি আব্দুআলোফ এই তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গাজায় তীব্র বোমা হামলা চালানোর কথা জানিয়েছিলেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে হামলা চালাচ্ছি। আজ রাত এবং প্রতিদিন। আজ রাতে প্রচণ্ড হামলা হয়েছে। রবিবারের হামলার আগে আবারো গাজায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয় দখলদার ইসরায়েল। ফলে গাজায় এখন কি হচ্ছে সে ব্যাপারে কোনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা গাজার প্রাণকেন্দ্র গাজা সিটির ভেতর প্রবেশ করছে। আর সেনারা যেন ট্যাংক নিয়ে কোনো বাধা ছাড়াই গাজা সিটির ভেতর ঢুকতে পারে— সেই ব্যবস্থা করতে বোমা হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর প্রথমবার ট্যাংক ও অন্যান্য সাঁজোয়া যান নিয়ে গাজায় স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেনারা গাজায় ঢোকার আগ মুহূর্তে সেদিন রাতে তীব্র বোমা হামলা চালানো হয়েছিল।

৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতিশোধমূলক, নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। শুরুতে বিমান হামলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন সঙ্গে স্থল হামলাও চলছে। প্রায় এক মাসের এই হামলায় এখন পর্যন্ত নয় হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় চার হাজারই শিশু।

গেল শুক্রবার গাজা শহর থেকে দক্ষিণ গাজার দিকে আগাতে থাকা অ্যাম্বুলেন্স বহরের ওপর বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল। এবারও ইসরায়েল কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করে, অ্যাম্বুলেন্সে হামাসের যোদ্ধারা ছিলেন। এই হামলায় ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।

ব্যাপক হামলা সত্ত্বেও হামাসের রকেট নিক্ষেপ অবকাঠামোর তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ইসরায়েল। গত এক সপ্তাহজুড়ে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে গড়ে ১২টি করে রকেট ছুঁড়েছে হামাস। তবে ৩ নভেম্বর রকেটের সংখ্যা কমে ৯ হয়েছিল।