শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় লাশের কবরও দেওয়া যাচ্ছে না

গাজার পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে ভয়াবহ হচ্ছে। পুরো অঞ্চল ধরে তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। হাসপাতাল থেকে বের হলেই হামলা চালাচ্ছেন ইসরাইলি স্নাইপাররা। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে, ১০০ নিহতের মরদেহ কবর দিতেও পারছে না আল শিফা হাসপাতাল। এরই মধ্যে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল আল শিফা ও আল কুদস বন্ধ হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সিকে গাজার হাসপাতালের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আল শিফা হাসপাতালের কর্মীরা প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। হাসপাতালের মেঝে এতটাই রক্তে ভেসে যায় যে, তা পরিষ্কার করাও সম্ভব হচ্ছে না কর্মীদের। এরই মধ্যে ওই হাসপাতালের তিনজন নার্সের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

তবে শুধু হাসপাতাল বন্ধ করেই ক্ষান্ত হননি ইসরাইলি সেনারা। স্নাইপাররা হাসপাতালের চারদিক তাক করে আছেন। যে কাউকে পেলেই গুলি চালাচ্ছেন।

গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর ফিলিস্তিনে জ্বালানি ঢুকতে দেয়নি ইসরাইল। জ্বালানি না থাকায় বিদ্যুতের অভাবে আল শিফা হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে দুজন শিশু। এরই মধ্যে কয়েক দিন ধরে হাসপাতালের চারদিকে অবস্থান নিয়েছে ট্যাংক, ড্রোন। প্রতি মুহূর্তে হামলা চলছে।

এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবরুদ্ধ গাজাকে জ্বালানি দিতে চাইলেও না নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সশস্ত্র ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

গাজায় লাশের কবরও দেওয়া যাচ্ছে না

প্রকাশিত সময় : ০৪:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

গাজার পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে ভয়াবহ হচ্ছে। পুরো অঞ্চল ধরে তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। হাসপাতাল থেকে বের হলেই হামলা চালাচ্ছেন ইসরাইলি স্নাইপাররা। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে, ১০০ নিহতের মরদেহ কবর দিতেও পারছে না আল শিফা হাসপাতাল। এরই মধ্যে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল আল শিফা ও আল কুদস বন্ধ হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সিকে গাজার হাসপাতালের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আল শিফা হাসপাতালের কর্মীরা প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। হাসপাতালের মেঝে এতটাই রক্তে ভেসে যায় যে, তা পরিষ্কার করাও সম্ভব হচ্ছে না কর্মীদের। এরই মধ্যে ওই হাসপাতালের তিনজন নার্সের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

তবে শুধু হাসপাতাল বন্ধ করেই ক্ষান্ত হননি ইসরাইলি সেনারা। স্নাইপাররা হাসপাতালের চারদিক তাক করে আছেন। যে কাউকে পেলেই গুলি চালাচ্ছেন।

গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর ফিলিস্তিনে জ্বালানি ঢুকতে দেয়নি ইসরাইল। জ্বালানি না থাকায় বিদ্যুতের অভাবে আল শিফা হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে দুজন শিশু। এরই মধ্যে কয়েক দিন ধরে হাসপাতালের চারদিকে অবস্থান নিয়েছে ট্যাংক, ড্রোন। প্রতি মুহূর্তে হামলা চলছে।

এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবরুদ্ধ গাজাকে জ্বালানি দিতে চাইলেও না নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সশস্ত্র ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস।