শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বিগুণ সংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি হামাসের

যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন ১৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও তার প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক জিম্মিকে শুক্রবার মুক্তি দিয়েছে হামাস। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ইসরায়েলি নারী ও শিশু, এবং থাই কর্মীরা রয়েছেন। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েল, ১০ জন থাইল্যান্ড এবং ১ জন ফিলিপাইনের নাগরিক। গাজা ও মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ বর্ডার ক্রসিংয়ে মিসরের সরকার এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটির (আইসিআরসি) প্রতিনিধিদের কাছে এই জিম্মিদের হস্তান্তর করা হয়েছে। চারটি গাড়িতে এই জিম্মিদের নিয়ে আসা হয়েছিল।

সাত সপ্তাহ পর প্রথমবারের মতো ময়দানের লড়াই বন্ধের পর ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস গাজা থেকে ইসরায়েলে জিম্মিদের স্থানান্তরে সহযোগিতা করতে কাজ শুরু করে বলে সংস্থাটি জানায়। ইসরায়েলের জেলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে এসব জিম্মিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস। রেড ক্রস পরে জানিয়েছে, প্রথম দিন গাজায় ২৪ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

জিম্মিরা মুক্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা কেবলমাত্র জিম্মিদের প্রথম ব্যাচকে মুক্ত করতে পেরেছি। শিশু, তাদের মা এবং অন্যান্য নারীরা। প্রত্যেকে নিজেই এক একটি পৃথিবী।’ কিন্তু আমি ইসরায়েলের প্রত্যেক নাগরিক এবং জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের জোর দিয়ে বলছি, আমরা প্রত্যেক জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেই প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করব।’

চারদিনের ইসরায়েল-হামাস চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গেল ৭ অক্টোবর হামাসের জিম্মি করা প্রায় ২৪০ জনের মধ্যে ১৩ নারী ও শিশুকে প্রথম দলে মুক্তি দেয়ার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী, মোট ৫০ জন জিম্মি ও ১৫০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দির মুক্তির কথা রয়েছে। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস যদি দিনে অন্তত ১০ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তাহলে এ যুদ্ধবিরতি বাড়ানো সম্ভব।

ফিলিস্তিনি একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ১০০ জন পর্যন্ত জিম্মি মুক্তি পেতে পারেন। এর আগে শুক্রবার জিম্মিদের মুক্তির আগে অস্থায়ী এ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সাত সপ্তাহ পর হামাস যোদ্ধা ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যকার লড়াই প্রথমবারের মতো থামে। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর বড় ধরনের বোমাবর্ষণ, আর্টিলারি বা রকেট হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দ্বিগুণ সংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি হামাসের

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন ১৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও তার প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক জিম্মিকে শুক্রবার মুক্তি দিয়েছে হামাস। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ইসরায়েলি নারী ও শিশু, এবং থাই কর্মীরা রয়েছেন। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েল, ১০ জন থাইল্যান্ড এবং ১ জন ফিলিপাইনের নাগরিক। গাজা ও মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ বর্ডার ক্রসিংয়ে মিসরের সরকার এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটির (আইসিআরসি) প্রতিনিধিদের কাছে এই জিম্মিদের হস্তান্তর করা হয়েছে। চারটি গাড়িতে এই জিম্মিদের নিয়ে আসা হয়েছিল।

সাত সপ্তাহ পর প্রথমবারের মতো ময়দানের লড়াই বন্ধের পর ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস গাজা থেকে ইসরায়েলে জিম্মিদের স্থানান্তরে সহযোগিতা করতে কাজ শুরু করে বলে সংস্থাটি জানায়। ইসরায়েলের জেলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে এসব জিম্মিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস। রেড ক্রস পরে জানিয়েছে, প্রথম দিন গাজায় ২৪ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

জিম্মিরা মুক্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা কেবলমাত্র জিম্মিদের প্রথম ব্যাচকে মুক্ত করতে পেরেছি। শিশু, তাদের মা এবং অন্যান্য নারীরা। প্রত্যেকে নিজেই এক একটি পৃথিবী।’ কিন্তু আমি ইসরায়েলের প্রত্যেক নাগরিক এবং জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের জোর দিয়ে বলছি, আমরা প্রত্যেক জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেই প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করব।’

চারদিনের ইসরায়েল-হামাস চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গেল ৭ অক্টোবর হামাসের জিম্মি করা প্রায় ২৪০ জনের মধ্যে ১৩ নারী ও শিশুকে প্রথম দলে মুক্তি দেয়ার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী, মোট ৫০ জন জিম্মি ও ১৫০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দির মুক্তির কথা রয়েছে। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস যদি দিনে অন্তত ১০ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তাহলে এ যুদ্ধবিরতি বাড়ানো সম্ভব।

ফিলিস্তিনি একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ১০০ জন পর্যন্ত জিম্মি মুক্তি পেতে পারেন। এর আগে শুক্রবার জিম্মিদের মুক্তির আগে অস্থায়ী এ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সাত সপ্তাহ পর হামাস যোদ্ধা ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যকার লড়াই প্রথমবারের মতো থামে। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর বড় ধরনের বোমাবর্ষণ, আর্টিলারি বা রকেট হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।