শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল ‘ইফতার’

পবিত্র রমজান মাসের ইফতারকে ‘ইন্ট্যানজিবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে এই স্বীকৃতির কথা জানায় সংস্থাটি। ‘ইন্ট্যানজিবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ তালিকায় সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইফতারকে উল্লেখ করেছে ইউনেস্কো।  ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ইফতারকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যৌথভাবে আবেদন করে ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই স্বীকৃতি দিলো সংস্থাটি।

ইউনেস্কো বলছে, ইফতার মুসলমানরা আরবি রমজান মাসে সূর্যাস্তের পর সব নিয়ম সম্পন্ন করে পালন করে। যার মাধ্যমে সব বয়স ও লিঙ্গের মানুষ (যারা রোজা রাখে) ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাসের সমাপ্তি করে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, ইফতারের সময় মুসলিমরা পরিবার বা নিজ সম্প্রদায়ের সবাই একসঙ্গে মিলিত হয়। যার মাধ্যমে তাদের বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়। এ সময় বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যগত খাবার তৈরি করে একসঙ্গে ইফতার সম্পন্ন করেন। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, অভিভাবকেরা রোজার উপকারিতা এবং ইফতারের সামাজিক মূল্যবোধ ও কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এদিকে, একই দিনে ইউনেস্কোর ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে ‘ইন্ট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ সংরক্ষণ-বিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল ‘ইফতার’

প্রকাশিত সময় : ১১:১৬:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পবিত্র রমজান মাসের ইফতারকে ‘ইন্ট্যানজিবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে এই স্বীকৃতির কথা জানায় সংস্থাটি। ‘ইন্ট্যানজিবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ তালিকায় সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইফতারকে উল্লেখ করেছে ইউনেস্কো।  ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ইফতারকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যৌথভাবে আবেদন করে ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই স্বীকৃতি দিলো সংস্থাটি।

ইউনেস্কো বলছে, ইফতার মুসলমানরা আরবি রমজান মাসে সূর্যাস্তের পর সব নিয়ম সম্পন্ন করে পালন করে। যার মাধ্যমে সব বয়স ও লিঙ্গের মানুষ (যারা রোজা রাখে) ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাসের সমাপ্তি করে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, ইফতারের সময় মুসলিমরা পরিবার বা নিজ সম্প্রদায়ের সবাই একসঙ্গে মিলিত হয়। যার মাধ্যমে তাদের বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়। এ সময় বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যগত খাবার তৈরি করে একসঙ্গে ইফতার সম্পন্ন করেন। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, অভিভাবকেরা রোজার উপকারিতা এবং ইফতারের সামাজিক মূল্যবোধ ও কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এদিকে, একই দিনে ইউনেস্কোর ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে ‘ইন্ট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ সংরক্ষণ-বিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।