শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪১ দেশে করোনা, মাস্ক পরাসহ কারিগরি কমিটির ৪ পরামর্শ

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকিতে ব্রাজিল

বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। সম্প্রতি হঠাৎ করে আবার জেএন.১ নামের এক উপধরন দেখা দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের প্রায় ৪১টি দেশে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায়, বাংলাদেশে করোনার নতুন এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তারা বলেছেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কেউ নতুন এ জেএন.১ উপধরনে আক্রান্ত হয়নি। তারপরও আগাম সতর্কতা হিসেবে নতুন জেএন.১ উপধরন সংক্রমণ মোকাবিলায় হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ সব পাবলিক স্থানে মাস্ক ব্যবহারসহ চার দফা নিয়ম মেনে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভায় সবার পরামর্শের আলোকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। সেগুলো হলো—
১। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি—যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটি সহায়ক হবে।

২। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৪। সভায় অস্ত্রোপচার অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে, কমিটি কেবল কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে একে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনটি অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ওমিক্রনের উপধরন হলো জেএন.১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ায় জেএন.১ আরও অনেক বেশি কার্যকর। ফলে এর সংক্রমণের হার বেশি। তবে এর ঝুঁকি কম বলেও জানিয়েছেন তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

৪১ দেশে করোনা, মাস্ক পরাসহ কারিগরি কমিটির ৪ পরামর্শ

প্রকাশিত সময় : ১২:১৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। সম্প্রতি হঠাৎ করে আবার জেএন.১ নামের এক উপধরন দেখা দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের প্রায় ৪১টি দেশে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায়, বাংলাদেশে করোনার নতুন এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তারা বলেছেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কেউ নতুন এ জেএন.১ উপধরনে আক্রান্ত হয়নি। তারপরও আগাম সতর্কতা হিসেবে নতুন জেএন.১ উপধরন সংক্রমণ মোকাবিলায় হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ সব পাবলিক স্থানে মাস্ক ব্যবহারসহ চার দফা নিয়ম মেনে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভায় সবার পরামর্শের আলোকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। সেগুলো হলো—
১। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি—যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটি সহায়ক হবে।

২। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৪। সভায় অস্ত্রোপচার অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে, কমিটি কেবল কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে একে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনটি অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ওমিক্রনের উপধরন হলো জেএন.১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ায় জেএন.১ আরও অনেক বেশি কার্যকর। ফলে এর সংক্রমণের হার বেশি। তবে এর ঝুঁকি কম বলেও জানিয়েছেন তারা।