শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে না নির্বাচন

আর মাত্র এক মাসের কিছু বেশি সময় বাকি ছিল পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের। কিন্তু এরই মধ্যে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে দেশটির সংসদে একটি রেজুলেশন পাস করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) পাস হয় রেজুলেশনটি। রেজুলেশনে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার কথা বলা হয়েছে।

এর ফলে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন পেছাতে রেজুলেশন পাস করা হয়। তবে প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী মর্তুজা সলঙ্গী এবং পাকিস্তানের মুসলিম লীগ-এনের সিনেটর আফনান উল্লাহ খান। পরে মাত্র ১৪ জন আইনপ্রণেতার উপস্থিতিতে পাস হয় রেজুলেশনটি। সিনেটর আফনানুল্লাহ খান বলেন, দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আসলেই ভালো নয়। কিন্তু ২০০৮ এবং ২০১৩ সালে পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল তবুও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, আপনি কি আবহাওয়া এবং নিরাপত্তার অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করবেন? এর আগে ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন দুবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আফনানউল্লাহ প্রশ্ন তোলেন, ২৪ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াই চলতে পারে কি না এই প্রস্তাবের মাধ্যমে আপনি চান কি? আপনি কি দেশে সংসদ চান না?’ সিনেটর দেলোয়ার খান আইনটি উচ্চস্বরে পাঠ করেন। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রত্যেক নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন করতে বাধ্য। পাকিস্তানে সংসদের উচ্চকক্ষে ১০০ জন সদস্য রয়েছে। তবে মাত্র ১৪ জন আইনপ্রণেতা প্রস্তাব পাসের সময় উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে না নির্বাচন

প্রকাশিত সময় : ১১:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪

আর মাত্র এক মাসের কিছু বেশি সময় বাকি ছিল পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের। কিন্তু এরই মধ্যে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে দেশটির সংসদে একটি রেজুলেশন পাস করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) পাস হয় রেজুলেশনটি। রেজুলেশনে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার কথা বলা হয়েছে।

এর ফলে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন পেছাতে রেজুলেশন পাস করা হয়। তবে প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী মর্তুজা সলঙ্গী এবং পাকিস্তানের মুসলিম লীগ-এনের সিনেটর আফনান উল্লাহ খান। পরে মাত্র ১৪ জন আইনপ্রণেতার উপস্থিতিতে পাস হয় রেজুলেশনটি। সিনেটর আফনানুল্লাহ খান বলেন, দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আসলেই ভালো নয়। কিন্তু ২০০৮ এবং ২০১৩ সালে পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল তবুও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, আপনি কি আবহাওয়া এবং নিরাপত্তার অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করবেন? এর আগে ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন দুবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আফনানউল্লাহ প্রশ্ন তোলেন, ২৪ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াই চলতে পারে কি না এই প্রস্তাবের মাধ্যমে আপনি চান কি? আপনি কি দেশে সংসদ চান না?’ সিনেটর দেলোয়ার খান আইনটি উচ্চস্বরে পাঠ করেন। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রত্যেক নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন করতে বাধ্য। পাকিস্তানে সংসদের উচ্চকক্ষে ১০০ জন সদস্য রয়েছে। তবে মাত্র ১৪ জন আইনপ্রণেতা প্রস্তাব পাসের সময় উপস্থিত ছিলেন।