বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৮ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে

পৌষের শেষে আবারও জেঁকে বসেছে শীত। গেল দুদিন থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ি দিয়ে আছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থান। বিশেষ করে উত্তরের জনপদে ঘন কুয়াশায় ও তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সকাল ৯টায় দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা আছে।

গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

কৃষক রুবেল সরকার বলেন, গত কয়েকদিনের লাগাতার ঘন কুয়াশার আর শীতল বাতাসের কারণে আমার বীজতলার ধানের গাছগুলো হলুদ বর্ণ হয়ে গেছে। এর থেকে প্রতিকার পেতে অতিরিক্ত খরচ করে স্প্রে করতে হচ্ছে। এতে করে বোরো ধান আবাদে অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে।

 

গ্রাম থেকে কাজের সন্ধানে দিনাজপুর শহরের ষষ্ঠীতলা মোড়ে এসেছেন হায়দার আলী তিনি বলেন, শতীতের সকালে গত দুই দিন ধরে এখানে বসে থেকে থেকে চলে যাচ্ছি কাজ পাচ্ছি না। এ কনকনে ঠান্ডায় কাজ না পেয়ে তাই আজকেও ফিরে যাচ্ছি বাড়িতে।

 

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলায় এ সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরো কমে যেতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, ১৮ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। যা আগামী আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকবে।  কমছে দিনের তাপমাত্রা। এর সঙ্গে বয়ে চলেছে উত্তরের কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।  সেইসাথে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

১৮ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে

প্রকাশিত সময় : ০৪:৫০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

পৌষের শেষে আবারও জেঁকে বসেছে শীত। গেল দুদিন থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ি দিয়ে আছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থান। বিশেষ করে উত্তরের জনপদে ঘন কুয়াশায় ও তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সকাল ৯টায় দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা আছে।

গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

কৃষক রুবেল সরকার বলেন, গত কয়েকদিনের লাগাতার ঘন কুয়াশার আর শীতল বাতাসের কারণে আমার বীজতলার ধানের গাছগুলো হলুদ বর্ণ হয়ে গেছে। এর থেকে প্রতিকার পেতে অতিরিক্ত খরচ করে স্প্রে করতে হচ্ছে। এতে করে বোরো ধান আবাদে অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে।

 

গ্রাম থেকে কাজের সন্ধানে দিনাজপুর শহরের ষষ্ঠীতলা মোড়ে এসেছেন হায়দার আলী তিনি বলেন, শতীতের সকালে গত দুই দিন ধরে এখানে বসে থেকে থেকে চলে যাচ্ছি কাজ পাচ্ছি না। এ কনকনে ঠান্ডায় কাজ না পেয়ে তাই আজকেও ফিরে যাচ্ছি বাড়িতে।

 

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলায় এ সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরো কমে যেতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, ১৮ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। যা আগামী আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকবে।  কমছে দিনের তাপমাত্রা। এর সঙ্গে বয়ে চলেছে উত্তরের কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।  সেইসাথে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।