শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা নিয়ে নতুন করে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ নীতির অধীনে বাংলাদেশের ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এবার পাকিস্তানের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও দেশটির রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। এসময় উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও।

বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্য ইস্যুর পাশাপাশি আলোচনা হয় ইরান-পাকিস্তান উত্তেজনা ও পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে। বিশ্ব রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে দেশটির প্রশাসনের অবস্থান জানতে চান সাংবাদিকরা। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেলের কাছে প্রশ্ন করেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনার বিষয়ে। উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল জানান, দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনার বিষয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটি ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যকার সামরিক ইস্যু বলেও জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব। ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করছে’ এমন ব্যক্তিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।

কিন্তু পাকিস্তানের প্রসঙ্গ এলে, আপনি ওই একই ঘোষণা দেননি। দুই দেশের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এত পার্থক্য কেন? জবাবে প্যাটেল বিস্তারিত না বলে জানিয়ে দেন, আমরা বিশ্বাস করি না যে, কোনও পার্থক্য আছে। আমরা শুধু প্রিভিউ দেখবো না। সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, তাহলে যদি এমন কেউ থাকে যারা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে? জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘প্রতিটি দেশ আলাদা। তবুও আবার বলছি, আমরা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। অবশ্যই পাকিস্তানেও। যখন আমরা এমন কিছু দেখি, যা এই অঞ্চল সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে রয়েছে এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের ঘোষিত অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ, তখন আমরা তাদের সমাধান করার বিষয়ে বলবো।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা নিয়ে নতুন করে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত সময় : ০৩:০৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ নীতির অধীনে বাংলাদেশের ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এবার পাকিস্তানের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও দেশটির রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। এসময় উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও।

বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্য ইস্যুর পাশাপাশি আলোচনা হয় ইরান-পাকিস্তান উত্তেজনা ও পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে। বিশ্ব রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে দেশটির প্রশাসনের অবস্থান জানতে চান সাংবাদিকরা। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেলের কাছে প্রশ্ন করেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনার বিষয়ে। উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল জানান, দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনার বিষয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটি ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যকার সামরিক ইস্যু বলেও জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব। ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করছে’ এমন ব্যক্তিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।

কিন্তু পাকিস্তানের প্রসঙ্গ এলে, আপনি ওই একই ঘোষণা দেননি। দুই দেশের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এত পার্থক্য কেন? জবাবে প্যাটেল বিস্তারিত না বলে জানিয়ে দেন, আমরা বিশ্বাস করি না যে, কোনও পার্থক্য আছে। আমরা শুধু প্রিভিউ দেখবো না। সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, তাহলে যদি এমন কেউ থাকে যারা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে? জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘প্রতিটি দেশ আলাদা। তবুও আবার বলছি, আমরা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। অবশ্যই পাকিস্তানেও। যখন আমরা এমন কিছু দেখি, যা এই অঞ্চল সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে রয়েছে এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের ঘোষিত অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ, তখন আমরা তাদের সমাধান করার বিষয়ে বলবো।’