শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, চারজনের ফাঁসি দিল ইরান

ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চারজনের মৃতুদ্যণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। দেশটির বিচার বিভাগের ওয়েবসাইট মিজান অনলাইনের বক্তব্য অনুযায়ী, ইসফাহানের মধ্য প্রদেশে ইরানের এক প্রতিরক্ষা কেন্দ্রে নাশকতার পরিকল্পনায় ইসরাইলের সঙ্গে সহযোগিতা করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ওই চারজনের মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়। সোমবার ভোরে তেহরানের স্যাটেলাইট শহর কারাজের গেজেল হেসার জেলে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। ইরানের অভিযোগ, এই ব্যক্তিরা “ইহুদীবাদী গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক গোষ্ঠীর সদস্য।” আদতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বিভাগ মোসাদের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কুর্দি জাতিগোষ্ঠীগত পরিচয় উল্লেখ করেনি ইরান। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা সংখ্যালঘু কুর্দি সম্প্রদায়ের। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও। য্ক্তুরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ‘চরমভাবে অন্যায্য গোপন বিচারের পর চার ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এই ব্যক্তিদের ‘কুর্দি বংশোদ্ভুত’ বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এর কর্মকর্তা মাহমুদ আমিরি মোঘাদ্দাম বলেন, ‘নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি নিয়ে তার ভিত্তিতে এই চার বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং ন্যায্য বিচার হয়নি এবং এটা বিচার-বহির্ভুত হত্যা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।’ আইএইচআর-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইরানে এ বছর এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ইরান। প্রথমে রয়েছে চীন। ডিসেম্বরের শেষ দিকেও মোসাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজন পুরুষ ও এক নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল ইরান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, চারজনের ফাঁসি দিল ইরান

প্রকাশিত সময় : ১১:০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চারজনের মৃতুদ্যণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। দেশটির বিচার বিভাগের ওয়েবসাইট মিজান অনলাইনের বক্তব্য অনুযায়ী, ইসফাহানের মধ্য প্রদেশে ইরানের এক প্রতিরক্ষা কেন্দ্রে নাশকতার পরিকল্পনায় ইসরাইলের সঙ্গে সহযোগিতা করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ওই চারজনের মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়। সোমবার ভোরে তেহরানের স্যাটেলাইট শহর কারাজের গেজেল হেসার জেলে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। ইরানের অভিযোগ, এই ব্যক্তিরা “ইহুদীবাদী গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক গোষ্ঠীর সদস্য।” আদতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বিভাগ মোসাদের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কুর্দি জাতিগোষ্ঠীগত পরিচয় উল্লেখ করেনি ইরান। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা সংখ্যালঘু কুর্দি সম্প্রদায়ের। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও। য্ক্তুরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ‘চরমভাবে অন্যায্য গোপন বিচারের পর চার ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এই ব্যক্তিদের ‘কুর্দি বংশোদ্ভুত’ বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এর কর্মকর্তা মাহমুদ আমিরি মোঘাদ্দাম বলেন, ‘নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি নিয়ে তার ভিত্তিতে এই চার বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং ন্যায্য বিচার হয়নি এবং এটা বিচার-বহির্ভুত হত্যা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।’ আইএইচআর-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইরানে এ বছর এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ইরান। প্রথমে রয়েছে চীন। ডিসেম্বরের শেষ দিকেও মোসাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজন পুরুষ ও এক নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল ইরান।