শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে হামলার অনুমতি যুক্তরাষ্ট্রের, রাইসির কঠোর হুঁশিয়ারি

যুক্তরাষ্ট্রের নাম উচ্চারণ না করে এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকবার বলেছি, আমরা কোনো যুদ্ধের সূচনাকারী হব না। তবে যদি কোনো দেশ, নিষ্ঠুর শক্তি তাণ্ডব করতে চায়, তাহলে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দৃঢ়ভাবে জবাব দেবে। ’-শত্রুদের সতর্কবার্তা দিতে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আজ আমাদের বিরুদ্ধে শত্রুর কিছু করার ক্ষমতা নেই; কারণ তারা জানে, আমাদের বাহিনী শক্তিশালী ও সক্ষম। ’

এ সময় বন্দর আব্বাসে ঘাঁটি নিয়ে কথা বলেন রাইসি। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে ইরানের সামরিক শক্তি অন্য কোনো দেশের জন্য হুমকি ছিল না এবং এখনো নয়। তবে এটি নিরাপত্তার একটি উত্স, যার ওপর এই অঞ্চলের দেশগুলো নির্ভর করতে পারে এবং বিশ্বাস করতে পারে।

জর্দানের একটি ঘাঁটিতে গত রোববার ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। ঘটনার পর পর এই হামলার জন্য ‘ইরান সমর্থিত উগ্র সশস্ত্র গোষ্ঠীকে’ দায়ী করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউস এক সতর্কবার্তায় জানায়, হামলার প্রতিশোধ নিতে ‘একাধিক পদক্ষেপ’ নেওয়া হতে পারে।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বিলম্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা যেখানে, যখন এবং যেভাবে চাই, সেভাবেই পাল্টা পদক্ষেপ নেব।

এরপরই ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা পরিকল্পনার অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক কর্মকর্তার বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থানরত ইরানের সেনা, অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা কয়েকদিনে চালানো হবে। তবে হামলা চালানোর আগে অনুকূল আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন তারা। যেন কোনো বেসামরিক মানুষ হতাহত না হন।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন বার্তার পরেই ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা সতর্কবার্তা এলো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইরানে হামলার অনুমতি যুক্তরাষ্ট্রের, রাইসির কঠোর হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের নাম উচ্চারণ না করে এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকবার বলেছি, আমরা কোনো যুদ্ধের সূচনাকারী হব না। তবে যদি কোনো দেশ, নিষ্ঠুর শক্তি তাণ্ডব করতে চায়, তাহলে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দৃঢ়ভাবে জবাব দেবে। ’-শত্রুদের সতর্কবার্তা দিতে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আজ আমাদের বিরুদ্ধে শত্রুর কিছু করার ক্ষমতা নেই; কারণ তারা জানে, আমাদের বাহিনী শক্তিশালী ও সক্ষম। ’

এ সময় বন্দর আব্বাসে ঘাঁটি নিয়ে কথা বলেন রাইসি। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে ইরানের সামরিক শক্তি অন্য কোনো দেশের জন্য হুমকি ছিল না এবং এখনো নয়। তবে এটি নিরাপত্তার একটি উত্স, যার ওপর এই অঞ্চলের দেশগুলো নির্ভর করতে পারে এবং বিশ্বাস করতে পারে।

জর্দানের একটি ঘাঁটিতে গত রোববার ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। ঘটনার পর পর এই হামলার জন্য ‘ইরান সমর্থিত উগ্র সশস্ত্র গোষ্ঠীকে’ দায়ী করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউস এক সতর্কবার্তায় জানায়, হামলার প্রতিশোধ নিতে ‘একাধিক পদক্ষেপ’ নেওয়া হতে পারে।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বিলম্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা যেখানে, যখন এবং যেভাবে চাই, সেভাবেই পাল্টা পদক্ষেপ নেব।

এরপরই ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা পরিকল্পনার অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক কর্মকর্তার বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থানরত ইরানের সেনা, অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা কয়েকদিনে চালানো হবে। তবে হামলা চালানোর আগে অনুকূল আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন তারা। যেন কোনো বেসামরিক মানুষ হতাহত না হন।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন বার্তার পরেই ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা সতর্কবার্তা এলো।