শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে?

গত দুবছরে বিশ্ববাসী দুটি বড় যুদ্ধ শুরু হতে দেখেছে, যার একটিও এখনো থামেনি। একটি ২০২২ সালে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং আরেকটি ২০২৩ সালে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। দুটি যুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদও চোখে পড়ার মতো। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে বৈরিতা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। গত ২৮ জানুয়ারি জর্দানে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার জবাবে ইরাক ও সিরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনাগুলোতে প্রতিশোধমূলক সামরিক হামলা চালানোর নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার মধ্যরাতে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫টি স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪০ জন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

রয়টার্স ও বিবিসি গতকাল জানিয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি জর্দানে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহত এবং আরও ৪০ জনেরও বেশি সেনা আহত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করে আসছিল। যদিও ইরান এ দাবি অস্বীকার করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই হামলার পর ইরান এর নিন্দা জানালেও প্রতিক্রিয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত এখনো মেলেনি। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধমূলক হামলার আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছিলেন, ইরান যুদ্ধ শুরু করবে না। তবে কেউ ইরানকে উত্ত্যক্ত করলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

হামলার ব্যাপারে গতকাল হোয়াইট হাউস বলেছে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ও তাদের মিত্র মিলিশিয়াদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইরাক-সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের হামলার সময় লেগেছে ৩০ মিনিট। আর এই হামলা স্পষ্টতই সফল। ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ার মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস গতকাল জানায়, হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন, যারা সবাই ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য। তবে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে নিহতদের বেসামরিক নাগরিক বলে দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলাকে ‘ইরাকের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে নতুন আগ্রাসন’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানানো হয়েছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলেছে, হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্স এবং তাদের সংশ্লিষ্ট মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে আমেরিকান বাহিনী ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে। এসব হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে দূরপাল্লার বি-১ বোমারু বিমান, যা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে আঘাত হানে। বিমান হামলায় ১২৫টিরও বেশি নিশানায় নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ইরানি বাহিনী ও তাদের সমর্থিত মিলিশিয়াদের যারা মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলায় সহায়তা করেছিল, তাদের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার এবং গোয়েন্দা কেন্দ্রের পাশাপাশি রকেট, মিসাইল ও ড্রোন স্টোরেজ অবকাঠামোতেও হামলা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইরাক ও ইরানে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান রোধ করতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ হিসেবে ইরাকি সরকারের আমন্ত্রণে ২০১৭ সাল থেকে তারা সেখানে ঘাঁটি গেড়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ মার্কিন কর্মী রয়েছে। সিরিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তাদের আইএস-বিরোধী মিত্র কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে সমর্থন করার জন্য তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সেখানে রয়েছে। সিরিয়ার সরকার তাদের দেশে মার্কিন উপস্থিতির বিরোধিতা করে এবং একে দখলদারিত্ব বলে অভিহিত করে। এছাড়া জর্দানে প্রায় ৩ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে, দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।

এদিকে শুক্রবার মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরাকের উত্তরাঞ্চলে ইরবিল প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের আল-হারির বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী। শনিবার গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে সেখানে কোনো ধরনের হামলা হয়নি বলে দাবি করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর তিনটি সূত্র। এসব দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

ইরাক এবং সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ‘কৌশলগত ভুল’ বলে আখ্যা দিয়েছে তেহরান এবং এই হামলার নিন্দাও জানিয়েছে। তবে এতে ইরানের কোনো হতাহত হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি ইরান। শনিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলাকে উভয় দেশের ‘সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সিরিয়া-ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর শনিবার আনুষ্ঠানিক এক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, সিরিয়া ও ইরাকে হামলা একটি হঠকারী পদক্ষেপ এবং মার্কিন সরকারের আরেকটি কৌশলগত ভুল। এতে এই অঞ্চলে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতাই বাড়বে শুধু। গাজায় ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর অপরাধকে আড়াল করার জন্য মার্কিন হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি ওই অঞ্চলে অবৈধ ও একতরফা মার্কিন হামলা প্রতিরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে?

প্রকাশিত সময় : ০৪:১৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গত দুবছরে বিশ্ববাসী দুটি বড় যুদ্ধ শুরু হতে দেখেছে, যার একটিও এখনো থামেনি। একটি ২০২২ সালে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং আরেকটি ২০২৩ সালে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। দুটি যুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদও চোখে পড়ার মতো। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে বৈরিতা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। গত ২৮ জানুয়ারি জর্দানে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার জবাবে ইরাক ও সিরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনাগুলোতে প্রতিশোধমূলক সামরিক হামলা চালানোর নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার মধ্যরাতে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫টি স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪০ জন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

রয়টার্স ও বিবিসি গতকাল জানিয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি জর্দানে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহত এবং আরও ৪০ জনেরও বেশি সেনা আহত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করে আসছিল। যদিও ইরান এ দাবি অস্বীকার করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই হামলার পর ইরান এর নিন্দা জানালেও প্রতিক্রিয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত এখনো মেলেনি। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধমূলক হামলার আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছিলেন, ইরান যুদ্ধ শুরু করবে না। তবে কেউ ইরানকে উত্ত্যক্ত করলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

হামলার ব্যাপারে গতকাল হোয়াইট হাউস বলেছে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ও তাদের মিত্র মিলিশিয়াদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইরাক-সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের হামলার সময় লেগেছে ৩০ মিনিট। আর এই হামলা স্পষ্টতই সফল। ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ার মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস গতকাল জানায়, হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন, যারা সবাই ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য। তবে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে নিহতদের বেসামরিক নাগরিক বলে দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলাকে ‘ইরাকের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে নতুন আগ্রাসন’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানানো হয়েছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলেছে, হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্স এবং তাদের সংশ্লিষ্ট মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে আমেরিকান বাহিনী ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে। এসব হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে দূরপাল্লার বি-১ বোমারু বিমান, যা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে আঘাত হানে। বিমান হামলায় ১২৫টিরও বেশি নিশানায় নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ইরানি বাহিনী ও তাদের সমর্থিত মিলিশিয়াদের যারা মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলায় সহায়তা করেছিল, তাদের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার এবং গোয়েন্দা কেন্দ্রের পাশাপাশি রকেট, মিসাইল ও ড্রোন স্টোরেজ অবকাঠামোতেও হামলা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইরাক ও ইরানে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান রোধ করতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ হিসেবে ইরাকি সরকারের আমন্ত্রণে ২০১৭ সাল থেকে তারা সেখানে ঘাঁটি গেড়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ মার্কিন কর্মী রয়েছে। সিরিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তাদের আইএস-বিরোধী মিত্র কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে সমর্থন করার জন্য তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সেখানে রয়েছে। সিরিয়ার সরকার তাদের দেশে মার্কিন উপস্থিতির বিরোধিতা করে এবং একে দখলদারিত্ব বলে অভিহিত করে। এছাড়া জর্দানে প্রায় ৩ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে, দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।

এদিকে শুক্রবার মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরাকের উত্তরাঞ্চলে ইরবিল প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের আল-হারির বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী। শনিবার গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে সেখানে কোনো ধরনের হামলা হয়নি বলে দাবি করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর তিনটি সূত্র। এসব দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

ইরাক এবং সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ‘কৌশলগত ভুল’ বলে আখ্যা দিয়েছে তেহরান এবং এই হামলার নিন্দাও জানিয়েছে। তবে এতে ইরানের কোনো হতাহত হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি ইরান। শনিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলাকে উভয় দেশের ‘সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সিরিয়া-ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর শনিবার আনুষ্ঠানিক এক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, সিরিয়া ও ইরাকে হামলা একটি হঠকারী পদক্ষেপ এবং মার্কিন সরকারের আরেকটি কৌশলগত ভুল। এতে এই অঞ্চলে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতাই বাড়বে শুধু। গাজায় ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর অপরাধকে আড়াল করার জন্য মার্কিন হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি ওই অঞ্চলে অবৈধ ও একতরফা মার্কিন হামলা প্রতিরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।