শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৩ উগ্রপন্থির বিরুদ্ধে মামলা করল বিজিবি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রামে ডুকে পড়া মিয়ানমারের সেই ২৩ উগ্রপন্থির বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা করেছে বিজিবি। গতকাল কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবির এক সদস্য বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এদিন দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় বিজিবি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন এবং অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত মামলায় বিভিন্ন ধরনের ১২-১৫টি অস্ত্রও বিজিবির পক্ষে পুলিশকে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি নথিবদ্ধ করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার জানান, পুলিশের কাছে অস্ত্রসহ সোপর্দকারী ২৩ জনই মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক।

পুলিশ, বিজিবি, ইউপি পরিষদ ও গ্রামবাসীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, গেল ৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে রহমতের বিল গ্রামে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে মিয়ানমারের অস্ত্রধারী কিছু উগ্রপন্থি। তখন তাদের ধাওয়া করে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ২৩ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে গ্রামবাসী। পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রামবাসীর হাতে ধৃত মিয়ানমারের সেই ২৩ উগ্রপন্থির বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে শুনেছি।

রামুর বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির বলেন, কয়েক দিন আগে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ধৃত মিয়ানমারের ২৩ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। তাদেরও পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র আইনে বিজিবির দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএন-এর সহঅধিনায়ক পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করার বিষয়টি জানি না। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রধান নবী হোসেন ও তার সদস্যদের মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের তথ্য জানা গেছে। সে ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারে এমন আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতকর্তা পালন করা হচ্ছে। তাকে পাওয়ামাত্রই গ্রেপ্তার করা হবে। এ ছাড়া সন্ত্রাসীসহ ক্যাম্পে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য এপিবিএন সজাগ রয়েছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

২৩ উগ্রপন্থির বিরুদ্ধে মামলা করল বিজিবি

প্রকাশিত সময় : ১১:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রামে ডুকে পড়া মিয়ানমারের সেই ২৩ উগ্রপন্থির বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা করেছে বিজিবি। গতকাল কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবির এক সদস্য বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এদিন দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় বিজিবি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন এবং অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত মামলায় বিভিন্ন ধরনের ১২-১৫টি অস্ত্রও বিজিবির পক্ষে পুলিশকে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি নথিবদ্ধ করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার জানান, পুলিশের কাছে অস্ত্রসহ সোপর্দকারী ২৩ জনই মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক।

পুলিশ, বিজিবি, ইউপি পরিষদ ও গ্রামবাসীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, গেল ৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে রহমতের বিল গ্রামে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে মিয়ানমারের অস্ত্রধারী কিছু উগ্রপন্থি। তখন তাদের ধাওয়া করে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ২৩ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে গ্রামবাসী। পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রামবাসীর হাতে ধৃত মিয়ানমারের সেই ২৩ উগ্রপন্থির বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে শুনেছি।

রামুর বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির বলেন, কয়েক দিন আগে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ধৃত মিয়ানমারের ২৩ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। তাদেরও পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র আইনে বিজিবির দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএন-এর সহঅধিনায়ক পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করার বিষয়টি জানি না। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রধান নবী হোসেন ও তার সদস্যদের মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের তথ্য জানা গেছে। সে ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারে এমন আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতকর্তা পালন করা হচ্ছে। তাকে পাওয়ামাত্রই গ্রেপ্তার করা হবে। এ ছাড়া সন্ত্রাসীসহ ক্যাম্পে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য এপিবিএন সজাগ রয়েছে।