শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাইতির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেছেন। গুয়েনার প্রেসিডেন্ট এবং ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির (কেরিকম) বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইরফান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আল-জাজিরার।

দেশটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে সহিংসতা চলছিল। হাইতিতে রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সোমবার জ্যামাইকায় আঞ্চলিক নেতারা মিলিত হন। এরপরেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী। ৭৪ বছর বয়সী হেনরি একজন নিউরো-সার্জন। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সেখানে কাজ করেছেন। ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে তিনি হাইতির রাজনীতিতে যুক্ত হন।

এই সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাঁ-বারট্রান্ড অ্যারিস্টাইডের বিরোধী এক আন্দোলনের নেতা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। অ্যারিস্টাইডের ক্ষমতাচ্যুতির পর হেনরি যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যপুষ্ট এক পরিষদের সদস্য হন। এই পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনে সাহায্য করেছিল। ২০০৬ সালের জুন মাসে হাইতির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে মনোনীত হন তিনি এবং পরে এই সংস্থার চিফ অফ স্টাফ হন। ২০১৫ সালে তাকে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক সম্প্রদায়ের মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল এবং হাইতির নিরাপত্তা ও স্বরাষ্ট্রনীতি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কয়েক মাস পর, তিনি সমাজকল্যাণ ও শ্রমমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। তবে ইনাইট দল ছাড়ার পর তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

হাইতির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

প্রকাশিত সময় : ১১:৫২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেছেন। গুয়েনার প্রেসিডেন্ট এবং ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির (কেরিকম) বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইরফান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আল-জাজিরার।

দেশটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে সহিংসতা চলছিল। হাইতিতে রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সোমবার জ্যামাইকায় আঞ্চলিক নেতারা মিলিত হন। এরপরেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী। ৭৪ বছর বয়সী হেনরি একজন নিউরো-সার্জন। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সেখানে কাজ করেছেন। ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে তিনি হাইতির রাজনীতিতে যুক্ত হন।

এই সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাঁ-বারট্রান্ড অ্যারিস্টাইডের বিরোধী এক আন্দোলনের নেতা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। অ্যারিস্টাইডের ক্ষমতাচ্যুতির পর হেনরি যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যপুষ্ট এক পরিষদের সদস্য হন। এই পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনে সাহায্য করেছিল। ২০০৬ সালের জুন মাসে হাইতির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে মনোনীত হন তিনি এবং পরে এই সংস্থার চিফ অফ স্টাফ হন। ২০১৫ সালে তাকে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক সম্প্রদায়ের মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল এবং হাইতির নিরাপত্তা ও স্বরাষ্ট্রনীতি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কয়েক মাস পর, তিনি সমাজকল্যাণ ও শ্রমমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। তবে ইনাইট দল ছাড়ার পর তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়।