শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সফরে চীনের সামরিক প্রতিনিধি দল

প্রতিরক্ষা ইস্যুতে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করতে চীনের সামরিক বাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল হঠাৎ করেই মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল সফর করেছে।

কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে চীনা প্রতিনিধি দল ওই সফর করেছে বলে জানিয়েছে বেইজিং। বুধবার (১৩ মার্চ) এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে মালদ্বীপ জানায়, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জের এই দেশটিতে মোতায়েন করা ভারতীয় সেনাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর তারা চীনের সাথে একটি সামরিক সহায়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। মালদ্বীপে আকস্মিক সফর করেছে চীনের সামরিক বাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল।

বুধবার বেইজিং নিশ্চিত করেছে। সফরে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মালদ্বীপের চীনপন্থী নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর সাথেও বৈঠক করেছেন। পরে সেখান থেকে তারা ৪ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সফর করেন। চীনা সামরিক বাহিনীর অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তিনটি দেশেই তারা সামরিক সম্পর্ক এবং অভিন্ন আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক মতামত বিনিময় করেছেন।’ বিবৃতিতে জানানো হয়, চীনের সামরিক বাহিনীর আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতা বিভাগের কর্মকর্তাদের এই প্রতিনিধি দলটি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ।

এতে বলা হয়েছে, ‘চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য সিরিজ ঐকমত্য পৌঁছেছে।’ ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এবং মালদ্বীপে বেইজিংয়ের প্রভাব নিয়ে ভারত উদ্বেগে রয়েছে। নিরক্ষরেখাজুড়ে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বিস্তৃত ও এক হাজার ১৯২টি ক্ষুদ্র প্রবাল দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা মালদ্বীপের প্রতিবেশি শ্রীলঙ্কাতেও চীনের প্রভাব বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দ্বীপ দেশ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব-পশ্চিম আন্তর্জাতিক শিপিং রুটের অর্ধেক পথ ধরে অবস্থিত। নেপালের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বেইজিংয়ের; যার নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মাওবাদী গেরিলা নেতা নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সফরে চীনের সামরিক প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

প্রতিরক্ষা ইস্যুতে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করতে চীনের সামরিক বাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল হঠাৎ করেই মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল সফর করেছে।

কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে চীনা প্রতিনিধি দল ওই সফর করেছে বলে জানিয়েছে বেইজিং। বুধবার (১৩ মার্চ) এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে মালদ্বীপ জানায়, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জের এই দেশটিতে মোতায়েন করা ভারতীয় সেনাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর তারা চীনের সাথে একটি সামরিক সহায়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। মালদ্বীপে আকস্মিক সফর করেছে চীনের সামরিক বাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল।

বুধবার বেইজিং নিশ্চিত করেছে। সফরে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মালদ্বীপের চীনপন্থী নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর সাথেও বৈঠক করেছেন। পরে সেখান থেকে তারা ৪ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সফর করেন। চীনা সামরিক বাহিনীর অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তিনটি দেশেই তারা সামরিক সম্পর্ক এবং অভিন্ন আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক মতামত বিনিময় করেছেন।’ বিবৃতিতে জানানো হয়, চীনের সামরিক বাহিনীর আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতা বিভাগের কর্মকর্তাদের এই প্রতিনিধি দলটি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ।

এতে বলা হয়েছে, ‘চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য সিরিজ ঐকমত্য পৌঁছেছে।’ ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এবং মালদ্বীপে বেইজিংয়ের প্রভাব নিয়ে ভারত উদ্বেগে রয়েছে। নিরক্ষরেখাজুড়ে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বিস্তৃত ও এক হাজার ১৯২টি ক্ষুদ্র প্রবাল দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা মালদ্বীপের প্রতিবেশি শ্রীলঙ্কাতেও চীনের প্রভাব বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দ্বীপ দেশ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব-পশ্চিম আন্তর্জাতিক শিপিং রুটের অর্ধেক পথ ধরে অবস্থিত। নেপালের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বেইজিংয়ের; যার নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মাওবাদী গেরিলা নেতা নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড।