শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাপুয়া নিউ গিনিতে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ২৩

পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) পার্বত্য এবং উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যায় রাস্তা, বাড়িঘর এবং কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপণার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লুসেট ম্যান জানিয়েছেন, পার্বত্য অঞ্চল চিম্বু প্রদেশের ভূমিধসে এক মা এবং তার সন্তান প্রাণ হারিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

তিনটি পৃথক ভূমিধসের ঘটনায় ২৩ জন কাঁদামাটির নিচে চাপা পড়েন। লুসেট ম্যান বলেন, এখনও সেখানে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ভূমিধস এবং বিভিন্ন নদী প্লাবিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চিম্বুর দক্ষিণে অবস্থিত উপকূলীয় এলাকাগুলোও প্লাবিত হচ্ছে।

জোয়ারের কারণে উপকূলীয় গ্রাম লেসে কাভোরা প্লাবিত হয়েছে। ফলে সেখানকার কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে এনগা প্রদেশেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওয়াপেনামান্ডা সম্প্রদায়ের নেতা অ্যাকুইলা কুঞ্জি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বেশ কিছু নদী প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সারাদিনে একবার খাবার খেতে পাচ্ছি। আমাদের আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। ২০২২ সালের বিশ্ব ঝুঁকি বিষয়ক সূচক অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক বিপদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ১৬তম দেশ হিসাবে স্থান পায় পাপুয়া নিউ গিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পাপুয়া নিউ গিনিতে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ২৩

প্রকাশিত সময় : ১২:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) পার্বত্য এবং উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যায় রাস্তা, বাড়িঘর এবং কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপণার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লুসেট ম্যান জানিয়েছেন, পার্বত্য অঞ্চল চিম্বু প্রদেশের ভূমিধসে এক মা এবং তার সন্তান প্রাণ হারিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

তিনটি পৃথক ভূমিধসের ঘটনায় ২৩ জন কাঁদামাটির নিচে চাপা পড়েন। লুসেট ম্যান বলেন, এখনও সেখানে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ভূমিধস এবং বিভিন্ন নদী প্লাবিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চিম্বুর দক্ষিণে অবস্থিত উপকূলীয় এলাকাগুলোও প্লাবিত হচ্ছে।

জোয়ারের কারণে উপকূলীয় গ্রাম লেসে কাভোরা প্লাবিত হয়েছে। ফলে সেখানকার কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে এনগা প্রদেশেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওয়াপেনামান্ডা সম্প্রদায়ের নেতা অ্যাকুইলা কুঞ্জি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বেশ কিছু নদী প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সারাদিনে একবার খাবার খেতে পাচ্ছি। আমাদের আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। ২০২২ সালের বিশ্ব ঝুঁকি বিষয়ক সূচক অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক বিপদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ১৬তম দেশ হিসাবে স্থান পায় পাপুয়া নিউ গিনি।