শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ সুগন্ধি ব্যবহার করার দিন

আজ আন্তর্জাতিক সুগন্ধ দিবস। দিনটি উদযাপন করতে ভালো কোনো পারফিউম নিজে ব্যবহার করতে পারেন, আবার প্রিয়জনকেও উপহার দিতে পারেন। প্রকৃতি থেকে সুগন্ধ পেতে কিনতে পারেন একগুচ্ছ তাজা ফুল। অথবা চলে যেতে পারেন প্রকৃতির কাছাকাছি, যেখানে ফুল, ফল, পাতা, লতার ঘ্রাণ মিলেমিশে আপনাকে দেবে অন্যরকম এক প্রশান্তি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিভিন্ন পথে সুগন্ধ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। যেমন, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সময় ফুসফুসের মাধ্যমে গন্ধ প্রবেশ করে। এ ছাড়া, ত্বকের সুগন্ধ মাখলেও সেটা ঘটে। খাবার সময় খাবারের সুগন্ধ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালীর মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করে এবং রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে যায়।

সুগন্ধী তেল নাকের মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কের আবেগ পরিচালন কেন্দ্রে প্রভাব ফেলতে সক্ষম। ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের রোগীদের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।  চিকিৎসকেরা বলেন,  সুগন্ধ পেলে স্মৃতিভ্রংশের রোগীরা আরো ভালোভাবে সাড়া দিয়ে থাকেন। তাদের গন্ধ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতি জাগে। সুগন্ধ পেলে মানুষ নিরাপদ বোধ করে, কারণ, সেটা তাদের চেনা অনুভূতি, ভালো অনুভূতি, ভালো স্মৃতি।

উল্লেখ্য, সুগন্ধ দিবসটির উদযাপন কবে কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা এখন পর্যন্ত ঠিক করে জানা যায় না। যেমন এখনও অজানা রয়ে গেছে পারফিউমের উৎপত্তির সর্বজনগ্রাহ্য ইতিহাস। তবে জানা যায় যে, পারফিউমের উৎপত্তিস্থল হিসেবে মেসোপটেমিয়ার (বর্তমান ইরাক, কুয়েত ও সৌদি আরব) নামই অধিক গ্রহণযোগ্য। পরবর্তীতে রোমান ও পারসিয়ানরা সুগন্ধি বানানোর প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিক করে তুলেছে। প্রায় চার হাজার বছর আগের সুগন্ধির কারখানার সন্ধানও পাওয়া গেছে সাইপ্রাসে। তখনও সুগন্ধি বা পারফিউম তৈরিতে ফল ও ফুলের ব্যবহার করা হতো।

সূত্র: ডয়চে ভেলে অবলম্বণে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

আজ সুগন্ধি ব্যবহার করার দিন

প্রকাশিত সময় : ০৮:০৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

আজ আন্তর্জাতিক সুগন্ধ দিবস। দিনটি উদযাপন করতে ভালো কোনো পারফিউম নিজে ব্যবহার করতে পারেন, আবার প্রিয়জনকেও উপহার দিতে পারেন। প্রকৃতি থেকে সুগন্ধ পেতে কিনতে পারেন একগুচ্ছ তাজা ফুল। অথবা চলে যেতে পারেন প্রকৃতির কাছাকাছি, যেখানে ফুল, ফল, পাতা, লতার ঘ্রাণ মিলেমিশে আপনাকে দেবে অন্যরকম এক প্রশান্তি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিভিন্ন পথে সুগন্ধ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। যেমন, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সময় ফুসফুসের মাধ্যমে গন্ধ প্রবেশ করে। এ ছাড়া, ত্বকের সুগন্ধ মাখলেও সেটা ঘটে। খাবার সময় খাবারের সুগন্ধ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালীর মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করে এবং রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে যায়।

সুগন্ধী তেল নাকের মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কের আবেগ পরিচালন কেন্দ্রে প্রভাব ফেলতে সক্ষম। ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের রোগীদের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।  চিকিৎসকেরা বলেন,  সুগন্ধ পেলে স্মৃতিভ্রংশের রোগীরা আরো ভালোভাবে সাড়া দিয়ে থাকেন। তাদের গন্ধ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতি জাগে। সুগন্ধ পেলে মানুষ নিরাপদ বোধ করে, কারণ, সেটা তাদের চেনা অনুভূতি, ভালো অনুভূতি, ভালো স্মৃতি।

উল্লেখ্য, সুগন্ধ দিবসটির উদযাপন কবে কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা এখন পর্যন্ত ঠিক করে জানা যায় না। যেমন এখনও অজানা রয়ে গেছে পারফিউমের উৎপত্তির সর্বজনগ্রাহ্য ইতিহাস। তবে জানা যায় যে, পারফিউমের উৎপত্তিস্থল হিসেবে মেসোপটেমিয়ার (বর্তমান ইরাক, কুয়েত ও সৌদি আরব) নামই অধিক গ্রহণযোগ্য। পরবর্তীতে রোমান ও পারসিয়ানরা সুগন্ধি বানানোর প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিক করে তুলেছে। প্রায় চার হাজার বছর আগের সুগন্ধির কারখানার সন্ধানও পাওয়া গেছে সাইপ্রাসে। তখনও সুগন্ধি বা পারফিউম তৈরিতে ফল ও ফুলের ব্যবহার করা হতো।

সূত্র: ডয়চে ভেলে অবলম্বণে