রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেললাইনে বসে কেক কাটার পর মা-মেয়ের আত্মহত্যা

যশোরের সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের পুলতাডাঙ্গা রেললাইন থেকে ট্রেনে কাটা মা এবং মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন, মা লাকি বেগম (৩৫) ও মেয়ে মিম খাতুন (১২)। তারা খুলনা জেলার বাসিন্দা। যশোর সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর গ্রামে ভাড়া থাকতেন। লাকি বেগমের প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায়। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও ডিভোর্স হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মাঠে কয়েকজন গরু চরাচ্ছিল তারা দেখতে পায়, ট্রেন আসার মুহুর্তে লাকি বেগম তার মেয়েকে হাত ধরে টেনে রেললাইনের উপর উঠানোর চেষ্টা করছিল। এক পর্যায়ে ট্রেন কাছে আসলে মা এবং মেয়ে একসঙ্গে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেয়। এর আগে তারা রেললাইনে বসে কেক কেটে একাংশ খান।

নিহত লাকি বেগমের প্রথম স্বামী কবির হোসেন বলেন, ‘‘আমার পরে আরও এক লোকের সঙ্গে লাকির বিয়ে হয়। মেয়েটা আমার। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ত। আমার মেয়ে প্রতিনিয়ত আমাকে ফোনে বলত, ‘আব্বা আম্মারে নিয়ে নেও’। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে, তা আমি জানি না।’’

যশোর ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘লোকমুখে জানতে পেরেছি, মা-মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থলে আমরা একটি ব্যাগ, ভিকটিমের মোবাইল পেয়েছি। মোবাইলের মাধ্যমে আমরা পরিচয় শনাক্ত করি।’

তিনি আরও বলেন, কী কারণে আত্মহত্যা করেছে, তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

রেললাইনে বসে কেক কাটার পর মা-মেয়ের আত্মহত্যা

প্রকাশিত সময় : ০৮:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

যশোরের সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের পুলতাডাঙ্গা রেললাইন থেকে ট্রেনে কাটা মা এবং মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন, মা লাকি বেগম (৩৫) ও মেয়ে মিম খাতুন (১২)। তারা খুলনা জেলার বাসিন্দা। যশোর সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর গ্রামে ভাড়া থাকতেন। লাকি বেগমের প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায়। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও ডিভোর্স হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মাঠে কয়েকজন গরু চরাচ্ছিল তারা দেখতে পায়, ট্রেন আসার মুহুর্তে লাকি বেগম তার মেয়েকে হাত ধরে টেনে রেললাইনের উপর উঠানোর চেষ্টা করছিল। এক পর্যায়ে ট্রেন কাছে আসলে মা এবং মেয়ে একসঙ্গে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেয়। এর আগে তারা রেললাইনে বসে কেক কেটে একাংশ খান।

নিহত লাকি বেগমের প্রথম স্বামী কবির হোসেন বলেন, ‘‘আমার পরে আরও এক লোকের সঙ্গে লাকির বিয়ে হয়। মেয়েটা আমার। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ত। আমার মেয়ে প্রতিনিয়ত আমাকে ফোনে বলত, ‘আব্বা আম্মারে নিয়ে নেও’। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে, তা আমি জানি না।’’

যশোর ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘লোকমুখে জানতে পেরেছি, মা-মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থলে আমরা একটি ব্যাগ, ভিকটিমের মোবাইল পেয়েছি। মোবাইলের মাধ্যমে আমরা পরিচয় শনাক্ত করি।’

তিনি আরও বলেন, কী কারণে আত্মহত্যা করেছে, তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।