বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইভ্যালির রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি, শামীমা কারাগারে

এসির জন্য ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলকে জেলগেটে একদিনের জিঙ্গাসাবাদের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহমেদ চৌধুরী এ আদেশ দেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিন এ মামলায় রাসেল ও শামীমাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষও একই দাবি জানান। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে রাসেলকে জেলগেটে তিন কার্যদিবসের মধ্যে একদিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে ও শামীমাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শামীমাকে আদালত থেকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ

এরআগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মো. মুজাহিদুর রহমান নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ধানমন্ডি থানাকে এটি এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গতবছর বাদী ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের দুই টন এসি এবং ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি কাঠের টি টেবিল অর্ডার করেন। সেবছর ১১ জুলাই এসি বাবদ ৮৫ হাজার এবং ২২ জুলাই টেবিলের দুই হাজার টাকা ছাড় বাবদ ২৩ হাজার টাকা পাঠান। পণ্য দুটি ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করবে বলে প্রতিষ্ঠানটির শর্ত ছিল। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর যোগাযোগ করলেও প্রতিষ্ঠানটি পণ্য দুটি ডেলিভারি করেনি। এজন্য তিনি রাসেল বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি শুধু টেবিলের টাকা ফেরত দেয়। কিন্তু এসির বিষয়ে তারা কোনো সমাধান করেনি। এরপর বাদী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গত ২৫ মে ইভ্যালির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসি ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু বাদীর অভিযোগ, আসামিরা এসির ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে পণ্য বা পাওনা টাকা কিছুই সরবরাহ করেনি। তাই আইনজীবী মোহাম্মদ নূহ শিকদারের মাধ্যমে আসামিকে গত ২৫ আগস্ট একটি আইনি নোটিশ পাঠায়। নোটিশে পাঁচ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করার কথা বলা হলেও আসামিরা তাতে কর্ণপাত করেনি। পরে ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ না নিয়ে আদালতে যেতে বলে। তাই অভিযোগটি গ্রহণ করতে আদালতকে অনুরোধ করেন বাদী।-ভোরের কাগজ 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইভ্যালির রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি, শামীমা কারাগারে

প্রকাশিত সময় : ০৩:২৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

এসির জন্য ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলকে জেলগেটে একদিনের জিঙ্গাসাবাদের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহমেদ চৌধুরী এ আদেশ দেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিন এ মামলায় রাসেল ও শামীমাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষও একই দাবি জানান। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে রাসেলকে জেলগেটে তিন কার্যদিবসের মধ্যে একদিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে ও শামীমাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শামীমাকে আদালত থেকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ

এরআগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মো. মুজাহিদুর রহমান নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ধানমন্ডি থানাকে এটি এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গতবছর বাদী ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের দুই টন এসি এবং ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি কাঠের টি টেবিল অর্ডার করেন। সেবছর ১১ জুলাই এসি বাবদ ৮৫ হাজার এবং ২২ জুলাই টেবিলের দুই হাজার টাকা ছাড় বাবদ ২৩ হাজার টাকা পাঠান। পণ্য দুটি ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করবে বলে প্রতিষ্ঠানটির শর্ত ছিল। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর যোগাযোগ করলেও প্রতিষ্ঠানটি পণ্য দুটি ডেলিভারি করেনি। এজন্য তিনি রাসেল বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি শুধু টেবিলের টাকা ফেরত দেয়। কিন্তু এসির বিষয়ে তারা কোনো সমাধান করেনি। এরপর বাদী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গত ২৫ মে ইভ্যালির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসি ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু বাদীর অভিযোগ, আসামিরা এসির ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে পণ্য বা পাওনা টাকা কিছুই সরবরাহ করেনি। তাই আইনজীবী মোহাম্মদ নূহ শিকদারের মাধ্যমে আসামিকে গত ২৫ আগস্ট একটি আইনি নোটিশ পাঠায়। নোটিশে পাঁচ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করার কথা বলা হলেও আসামিরা তাতে কর্ণপাত করেনি। পরে ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ না নিয়ে আদালতে যেতে বলে। তাই অভিযোগটি গ্রহণ করতে আদালতকে অনুরোধ করেন বাদী।-ভোরের কাগজ