মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪২ জেলায় তাপপ্রবাহ, মে মাসে বৃষ্টির আভাস

চুয়াডাঙ্গায় শনিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পারদ চড়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এই মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার সন্ধ্যার বুলেটিনে দেশের ৪২ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার তথ্য দিয়েছে।

রেকর্ড দাবদাহের মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক। তিনি বলেছেন, মে মাসের ২ তারিখের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। এটা কয়েকদিন থাকার সম্ভাবনা আছে, তখন তাপমাত্রা কমবে।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, টানা দুইদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে। তবে রবিবার সেখানে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা ও যশোর তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণ কী, এ প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সবসময়ই এসব এলাকায় তাপমাত্রা বেশি থাকে, বহু আগে থেকেই হয়ে আসছে। কারণ এই এলাকাগুলো ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গের পাশে।

ভারতের ওইসব এলাকায় ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠেছে শনিবার, সেটার আঁচ এসেই পড়ে বাংলাদেশের এ দুই জেলায়ও। দেশের বেশিরভাগ এলাকায় রবিবার তাপমাত্রা আরো বেড়ে ৪৩ ডিগ্রির আশেপাশে থাকতে পারে।

গত বছর ১৭ এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এপ্রিল এমনিতেই দেশের উষ্ণতম মাস। চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরুতে গরমের তীব্রতায় হাঁসফাঁস করতে হয়।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেছেন, গত বছর বাতাসে আর্দ্রতা কম ছিল। এবার আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে মানুষের শরীর ঘামছে, অস্বস্তি বেশি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়ার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আর মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে দিনাজপুর, রাঙামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশে। একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে।

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

৪২ জেলায় তাপপ্রবাহ, মে মাসে বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত সময় : ০৯:৪২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় শনিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পারদ চড়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এই মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার সন্ধ্যার বুলেটিনে দেশের ৪২ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার তথ্য দিয়েছে।

রেকর্ড দাবদাহের মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক। তিনি বলেছেন, মে মাসের ২ তারিখের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। এটা কয়েকদিন থাকার সম্ভাবনা আছে, তখন তাপমাত্রা কমবে।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, টানা দুইদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে। তবে রবিবার সেখানে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা ও যশোর তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণ কী, এ প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সবসময়ই এসব এলাকায় তাপমাত্রা বেশি থাকে, বহু আগে থেকেই হয়ে আসছে। কারণ এই এলাকাগুলো ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গের পাশে।

ভারতের ওইসব এলাকায় ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠেছে শনিবার, সেটার আঁচ এসেই পড়ে বাংলাদেশের এ দুই জেলায়ও। দেশের বেশিরভাগ এলাকায় রবিবার তাপমাত্রা আরো বেড়ে ৪৩ ডিগ্রির আশেপাশে থাকতে পারে।

গত বছর ১৭ এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এপ্রিল এমনিতেই দেশের উষ্ণতম মাস। চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরুতে গরমের তীব্রতায় হাঁসফাঁস করতে হয়।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেছেন, গত বছর বাতাসে আর্দ্রতা কম ছিল। এবার আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে মানুষের শরীর ঘামছে, অস্বস্তি বেশি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়ার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আর মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে দিনাজপুর, রাঙামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশে। একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে।

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।