শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিপর্যয়ের ৭৬ বছর পূর্তিতে মহাবিপর্যয়

ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়ার ৭৬ বছর পূর্তি করছে আজ। এই ঘটনা নাকবা বা বিপর্যয় নামে পরিচিত।

ফিলিস্তিনিদের ভাষ্য, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত যুদ্ধ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সামরিক সম্প্রসারণ স্পষ্ট প্রমাণ যে আজ দ্বিতীয় নাকবা ঘটছে। তবে ১৯৪৮ সালে আরব বিশ্বের সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেছিল। ২০২৪ সালে আরব বিশ্ব আর তাদের পাশে নেই। ফিলিস্তিনিরা একাই এখন নাকবার মুখোমুখি হচ্ছে।

ব্রিটেনে প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইহুদিবাদীরা ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে এবং নিজেদের স্বাধীন বলে ঘোষণা দেয়। পরের দিন অর্থাৎ ১৫ মে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ শুরু করে ইউরোপ ও রাশিয়া থেকে যাওয়া ইহুদিরা। ওই দিন শরণার্থী হতে হয় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে। মাত্র দেড় লাখ ফিলিস্তিনি নিজেদের ভূমিতে থেকে যেতে পেরেছিলেন। ওই সময় আরব বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আর ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। পশ্চিমা দুই শক্তিধর দেশের মদদে আরবদের পরাজিত করে ইসরায়েল। ১৫ মে নিজেদের জন্মভূমি থেকে উচ্ছেদের দিনটিকে নাকবা বা বিপর্যয় দিবস বলে ঘোষণা করে ফিলিস্তিনিরা।

৭ অক্টোবর গাজায় হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েল। ৭৬ বছর আগের মতোই এবারও তাদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ইসরায়েলের হামলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছিল মিশর সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে। ওই শহরের একাংশে গত সপ্তাহে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বুধবার পর্যন্ত প্রায়ে সাড়ে পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিপর্যয়ের ৭৬ বছর পূর্তিতে মহাবিপর্যয়

প্রকাশিত সময় : ০৭:১৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়ার ৭৬ বছর পূর্তি করছে আজ। এই ঘটনা নাকবা বা বিপর্যয় নামে পরিচিত।

ফিলিস্তিনিদের ভাষ্য, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত যুদ্ধ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সামরিক সম্প্রসারণ স্পষ্ট প্রমাণ যে আজ দ্বিতীয় নাকবা ঘটছে। তবে ১৯৪৮ সালে আরব বিশ্বের সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেছিল। ২০২৪ সালে আরব বিশ্ব আর তাদের পাশে নেই। ফিলিস্তিনিরা একাই এখন নাকবার মুখোমুখি হচ্ছে।

ব্রিটেনে প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইহুদিবাদীরা ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে এবং নিজেদের স্বাধীন বলে ঘোষণা দেয়। পরের দিন অর্থাৎ ১৫ মে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ শুরু করে ইউরোপ ও রাশিয়া থেকে যাওয়া ইহুদিরা। ওই দিন শরণার্থী হতে হয় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে। মাত্র দেড় লাখ ফিলিস্তিনি নিজেদের ভূমিতে থেকে যেতে পেরেছিলেন। ওই সময় আরব বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আর ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। পশ্চিমা দুই শক্তিধর দেশের মদদে আরবদের পরাজিত করে ইসরায়েল। ১৫ মে নিজেদের জন্মভূমি থেকে উচ্ছেদের দিনটিকে নাকবা বা বিপর্যয় দিবস বলে ঘোষণা করে ফিলিস্তিনিরা।

৭ অক্টোবর গাজায় হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েল। ৭৬ বছর আগের মতোই এবারও তাদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ইসরায়েলের হামলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছিল মিশর সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে। ওই শহরের একাংশে গত সপ্তাহে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বুধবার পর্যন্ত প্রায়ে সাড়ে পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছেন।