বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিরগিজস্তানে জনতার হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সহিংস জনতার হামলার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মে) রাতে শুরু হওয়া সহিংসতার মধ্যে বিশকেকের কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে হামলা হয়েছে—যেখানে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা থাকেন।

কিরগিজ সরকার জানিয়েছে, ১৭-১৮ মে রাতে বিশকেকে জনতার সহিংসতায় বেশ কয়েকজন বিদেশিসহ কমপক্ষে ২৮ জন আহত হওয়ার পর চারজন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

এই সহিংসতার বিষয়ে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য শনিবার ইউএনবির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।

রেডিও ফ্রি ইউরোপ জানিয়েছে, ১৩ মে মিশরের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের বিবাদের একটি ভিডিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ার জেরে এই সহিংসতা শুরু হয়। যাদের মারধর করা হয়েছে তারা কিরগিজ যুবক বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করার পর শুক্রবার রাতে বিশকেকের বেশ কয়েকটি স্থানে জড়ো হয় উত্তেজিত জনতা। ১৮ মে হামলার শিকার হন দেশটিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা।

কিরগিজস্তানের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব মেডিসিনের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সামিয়া কবির শনিবার সন্ধ্যায় ইউএনবিকে বলেন, আমরা এখানে পাঁচজন বাংলাদেশি মেয়ে আছি। আমরা এখন আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে আছি। আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে কিছু লোক জড়ো হচ্ছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।

সামিয়া আরও বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের ভেতরে থাকতে বলেছে। আমরা কাছাকাছি অন্যান্য অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। সেখানে কিছু পাকিস্তানি থাকতে পারে।

এ ব্যাপারে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, আমরা শিগগির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শেয়ার করব। উজবেকিস্তানে আমাদের মিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর আমরা পাইনি। আমরা আমাদের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

এদিকে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমানে বিশকেকের পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ব্লগিং সম্প্রদায় এবং বিদেশি সহকর্মীদের শুধুমাত্র কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া সরকারি এবং যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতে খবর পরিবেশন করতে বলা হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কিরগিজস্তানে জনতার হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত সময় : ০৯:২৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সহিংস জনতার হামলার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মে) রাতে শুরু হওয়া সহিংসতার মধ্যে বিশকেকের কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে হামলা হয়েছে—যেখানে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা থাকেন।

কিরগিজ সরকার জানিয়েছে, ১৭-১৮ মে রাতে বিশকেকে জনতার সহিংসতায় বেশ কয়েকজন বিদেশিসহ কমপক্ষে ২৮ জন আহত হওয়ার পর চারজন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

এই সহিংসতার বিষয়ে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য শনিবার ইউএনবির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।

রেডিও ফ্রি ইউরোপ জানিয়েছে, ১৩ মে মিশরের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের বিবাদের একটি ভিডিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ার জেরে এই সহিংসতা শুরু হয়। যাদের মারধর করা হয়েছে তারা কিরগিজ যুবক বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করার পর শুক্রবার রাতে বিশকেকের বেশ কয়েকটি স্থানে জড়ো হয় উত্তেজিত জনতা। ১৮ মে হামলার শিকার হন দেশটিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা।

কিরগিজস্তানের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব মেডিসিনের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সামিয়া কবির শনিবার সন্ধ্যায় ইউএনবিকে বলেন, আমরা এখানে পাঁচজন বাংলাদেশি মেয়ে আছি। আমরা এখন আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে আছি। আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে কিছু লোক জড়ো হচ্ছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।

সামিয়া আরও বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের ভেতরে থাকতে বলেছে। আমরা কাছাকাছি অন্যান্য অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। সেখানে কিছু পাকিস্তানি থাকতে পারে।

এ ব্যাপারে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, আমরা শিগগির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শেয়ার করব। উজবেকিস্তানে আমাদের মিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর আমরা পাইনি। আমরা আমাদের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

এদিকে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমানে বিশকেকের পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ব্লগিং সম্প্রদায় এবং বিদেশি সহকর্মীদের শুধুমাত্র কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া সরকারি এবং যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতে খবর পরিবেশন করতে বলা হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।