রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় আবাসন সংকট নিরসনে ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের আবাসিক হলে থাকার ব্যবস্থা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে হলে প্রবেশ করেছে ভর্তিচ্ছুরা। আগামী ৪-৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা। আবাসনের ব্যবস্থা থাকায় ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আনন্দ প্রকাশ করেছে ভর্তিচ্ছু নারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হল, মন্মুজান হল, রোকেয়া হলে খালেদা জিয়া, রহমতুন্নেছা হল,তাপসী রাবেয়া হলে অবস্থানে আগ্রহী ভর্তিচ্ছু ছাত্রীরা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে হলে প্রবেশ করে। অবস্থানের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া হলের মোবাইল/টেলিফোন নম্বরসমূহে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফোন করে বুকিং দিতে হয়েছে এবং হলে প্রবেশের সময় হল গেটে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেখাতে হয়েছে ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের।
ছাত্রীর সঙ্গে কোনো থাকার সুযোগ পায়নি অভিভাবকরা। হলে নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক মোতায়েন রয়েছে মহিলা পুলিশ। ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে আবাসন ব্যবস্থা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রসংশা করেছে ভর্তিচ্ছু নারী শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। তারা বলছে, করোনা কালে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এসে থাকার নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা করতে হয়। আবাসিক হলে থাকতে পেরে ভোগান্তিতে পরতে হয়নি তাদের।
সার্বিক বিষয়ে মন্নুজান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর সাবিনা ইয়াসমিন ক্যাম্পাস লাইভকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৪, ৫ এবং ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শুধুমাত্র ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলসমূহের কমন স্পেস যেমন- ওয়েটিং রুম, হল রুম, নামাজ ঘর, টিভি রুম ইত্যাদি জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইসাথে তাদের স্বাস্থ্য বিধি মানার বিষয়টাও নিশ্চিত করা হয়েছে।
রোকেয়া হলের প্রভোস্ট প্রফেসর মোবাররা সিদ্দিকা ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন,’কমন স্পেসসসূহে এক সঙ্গে প্রায় ৩০০-এর অধিক ছাত্রীকে অবস্থান করতে হতে পারে। ভর্তিচ্ছুদের আবাসেন আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
উল্লেখ্য, এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৪ হাজার ১৯১টি আসনে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা হবে। ‘এ’ (কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) ইউনিটে আসন ২ হাজার ১৯টি, ‘বি’ (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট) ইউনিটে ৫৬০টি এবং ‘সি’ (কৃষি ও বিজ্ঞান অনুষদ) ইউনিটে ১ হাজার ৬১২ আসন রয়েছে।
এ শিক্ষাবর্ষে বাছাই করে চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে ৪৫ হাজার করে তিনটি ইউনিটে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটে ৪৩ হাজার ৫৫৮, ‘বি’ ইউনিটে ৩৯ হাজার ৮৯৫ এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪৪ হাজার ১৯৪টি চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে। এতে সব মিলিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে ৭ হাজার ৩৫৩ আসন ফাঁকাই থাকছে।

দৈনিক দেশ নিউজ বিডি ডটকম ডেস্ক 























