শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘সমুদ্র নিরাপত্তায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে নৌ বাহিনী’

নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের ব্লুইকোনোমি সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণ, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও সমুদ্র নিরাপত্তায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে নৌ বাহিনী। নৌবাহিনীকে আরও আধুনিক করতে কাজ করছে সরকার।

শনিবার (১ জুন) সকালে পটুয়াখালীর বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ/২০২৪ ব্যাচের ৪৩৮ জন নবীন নাবিকের বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণ শেষে বর্ণাঢ্য  শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে এসব কথা বলেন তিনি।

নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে এম নামজুল হাসান বলেন, জাতির পিতার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নবীন নাবিকরা বংলাদেশের সুমুদ্রসীমার নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

এসময় তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ৪ নবীন নাবিককে পুরষ্কৃত করেন।

নৌবাহিনীর এ/২০২৪ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মো. সাইফুর রহমান সাইফ সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করে সেরা চৌকশ নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করেন। মো. আল আবি হুসাম দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’, মোহাম্মদ  শাহরিয়ার  তৃতীয়  স্থান অধিকার করে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ এবং মারিয়া আক্তার ‘প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দার পদক’ লাভ করেন।

পরে শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে নৌবাহিনী প্রধান বানৌজা শের-ই-বাংলায় নবনির্মিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ পটুয়াখালী এর উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে বহুদিন যাবৎ মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে অভাব ছিল তা আজ পূরণ হতে যাচ্ছে। বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটির মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলাবোধ, সময় উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা ও দক্ষ শিক্ষকের নিবিড় সান্নিধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে। অত্যাধুনিক এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব, প্রশস্ত খেলার মাঠ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, লাইব্রেরি, বিএনসিসি কার্যক্রম, নৌ স্কাউট, ক্যান্টিন এবং নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এমন কল্যাণকর উদ্যোগে স্থানীয় জনগণ অত্যন্ত আনন্দিত। তারা মনে করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

মনোজ্ঞ এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সহকারী নৌপ্রধান (পার্সোনেল), খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, জিওসি ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার এবং পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘সমুদ্র নিরাপত্তায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে নৌ বাহিনী’

প্রকাশিত সময় : ০৫:৫১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের ব্লুইকোনোমি সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণ, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও সমুদ্র নিরাপত্তায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে নৌ বাহিনী। নৌবাহিনীকে আরও আধুনিক করতে কাজ করছে সরকার।

শনিবার (১ জুন) সকালে পটুয়াখালীর বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ/২০২৪ ব্যাচের ৪৩৮ জন নবীন নাবিকের বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণ শেষে বর্ণাঢ্য  শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে এসব কথা বলেন তিনি।

নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে এম নামজুল হাসান বলেন, জাতির পিতার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নবীন নাবিকরা বংলাদেশের সুমুদ্রসীমার নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

এসময় তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ৪ নবীন নাবিককে পুরষ্কৃত করেন।

নৌবাহিনীর এ/২০২৪ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মো. সাইফুর রহমান সাইফ সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করে সেরা চৌকশ নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করেন। মো. আল আবি হুসাম দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’, মোহাম্মদ  শাহরিয়ার  তৃতীয়  স্থান অধিকার করে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ এবং মারিয়া আক্তার ‘প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দার পদক’ লাভ করেন।

পরে শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে নৌবাহিনী প্রধান বানৌজা শের-ই-বাংলায় নবনির্মিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ পটুয়াখালী এর উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে বহুদিন যাবৎ মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে অভাব ছিল তা আজ পূরণ হতে যাচ্ছে। বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটির মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলাবোধ, সময় উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা ও দক্ষ শিক্ষকের নিবিড় সান্নিধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে। অত্যাধুনিক এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব, প্রশস্ত খেলার মাঠ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, লাইব্রেরি, বিএনসিসি কার্যক্রম, নৌ স্কাউট, ক্যান্টিন এবং নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এমন কল্যাণকর উদ্যোগে স্থানীয় জনগণ অত্যন্ত আনন্দিত। তারা মনে করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

মনোজ্ঞ এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সহকারী নৌপ্রধান (পার্সোনেল), খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, জিওসি ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার এবং পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।