বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পানি বণ্টন ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সব সময়ই যোগাযোগ রেখেছে কেন্দ্র

ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে ঢাকা-দিল্লির আলোচনার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গকে এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তবে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সূত্র। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে উল্লেখযোগ্য আলোচনা হয়। এরপরই ২৪ জুন নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, পানি বণ্টন ইস্যুর আলোচনায় রাজ্য সরকারকে বাদ দিয়ে ঢাকার সঙ্গে সমঝোতা করছে নয়াদিল্লি। চিঠিতে মমতা ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ ফারাক্কা চুক্তি (১৯৯৬) নবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে। আপনি জানেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টনের পরিমাণ নির্ধারণের এই চুক্তির পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ওপর বিশাল প্রভাব রয়েছে। ’ তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র বলছে, এ নিয়ে দিল্লি-কলকাতার সঙ্গে একাধিক চিঠি চালাচালি হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই ফারাক্কা ও তিস্তা ইস্যুতে লিখিতভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে অবহিত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই চিঠিতে ফারাক্কা চুক্তি নবায়ন এবং এ সংক্রান্ত পর্যালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয়েছিল। সেই আহ্বান মেনে গত বছর ২৫ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেচ ও জলপথ দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একটি কমিটি দিল্লিতে পাঠানোও হয়েছিল। তারপর গত ৫ এপ্রিল রাজ্য সরকারের সেচ ও জলপথ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে হলে পশ্চিমবঙ্গের পানির চাহিদা সংক্রান্ত কী কী দাবি কেন্দ্রীয় সরকারকে মানতে হবে, তাও লিখিতভাবে জানিয়েছে দিল্লিকে। এ নিয়ে ভারতের একাধিক সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে মমতা ব্যানার্জির প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দোপাধ্যায় ক্ষোভ জানিয়েছেন। তবে যোগাযোগ হয়েছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে আলাপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রধান প্রকৌশলীর কাছে দুয়েকটি ছোট টেকনিক্যাল আউটপুট চাওয়া হয়েছিল। এই মতামত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলনের প্রয়াস করে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

৫০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে কথিত ‘জুলাইযোদ্ধা’ সুরভী গ্রেপ্তার

পানি বণ্টন ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সব সময়ই যোগাযোগ রেখেছে কেন্দ্র

প্রকাশিত সময় : ০৮:৩৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে ঢাকা-দিল্লির আলোচনার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গকে এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তবে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সূত্র। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে উল্লেখযোগ্য আলোচনা হয়। এরপরই ২৪ জুন নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, পানি বণ্টন ইস্যুর আলোচনায় রাজ্য সরকারকে বাদ দিয়ে ঢাকার সঙ্গে সমঝোতা করছে নয়াদিল্লি। চিঠিতে মমতা ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ ফারাক্কা চুক্তি (১৯৯৬) নবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে। আপনি জানেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টনের পরিমাণ নির্ধারণের এই চুক্তির পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ওপর বিশাল প্রভাব রয়েছে। ’ তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র বলছে, এ নিয়ে দিল্লি-কলকাতার সঙ্গে একাধিক চিঠি চালাচালি হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই ফারাক্কা ও তিস্তা ইস্যুতে লিখিতভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে অবহিত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই চিঠিতে ফারাক্কা চুক্তি নবায়ন এবং এ সংক্রান্ত পর্যালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয়েছিল। সেই আহ্বান মেনে গত বছর ২৫ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেচ ও জলপথ দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একটি কমিটি দিল্লিতে পাঠানোও হয়েছিল। তারপর গত ৫ এপ্রিল রাজ্য সরকারের সেচ ও জলপথ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে হলে পশ্চিমবঙ্গের পানির চাহিদা সংক্রান্ত কী কী দাবি কেন্দ্রীয় সরকারকে মানতে হবে, তাও লিখিতভাবে জানিয়েছে দিল্লিকে। এ নিয়ে ভারতের একাধিক সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে মমতা ব্যানার্জির প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দোপাধ্যায় ক্ষোভ জানিয়েছেন। তবে যোগাযোগ হয়েছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে আলাপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রধান প্রকৌশলীর কাছে দুয়েকটি ছোট টেকনিক্যাল আউটপুট চাওয়া হয়েছিল। এই মতামত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলনের প্রয়াস করে না।