শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর মাদকদ্রব্যের এডি সহ তিনজনকে কারণ দশানোর নির্দেশ

আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে হাজির হয়ে নওগাঁর মাদকদ্রব্যে নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের এডি সহ তিনজনকে স্ব শরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণে দশাতে বলা হয়েছে।  নওগাঁ কোর্টে গত ২৭ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬(ক) সারণীর ১৪(ক) ধারায় নওগাঁ সদর উপজেলার আসামী মেহেদী হাসানকে নওগাঁ আদালতে হাজির করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: আয়শা সিদ্দিকী ইমা’র কাছে মারধর করার অভিযোগ করেন আসামি মেহেদী হাসান এর জবানবন্দি গ্রহণ করে কি ধরনের আঘাত
তিনি পেয়েছেন, কতো দিন পূর্বের আঘাত তা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে পরিক্ষা করে মতামত দাখিলের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নির্দেশ করলে ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে শরিরের ৫ জায়গায় আঘাতের ঘটনার নিশ্চিত করে প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমলী আদালত-১ এর বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমতিাজুল ইসলাম ৬১৫ নং স্বারক এর মাধ্যমে দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সহকারি পরিচালক মো: লোকমান হোসেন, এসআই আব্দুল্লা হিল বাকী ও সিপাই মেহেদী হাসান কে আসামী গ্রেপ্তারের পর নিজ হেপাজতে রেখে নির্যাতন বিষয়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবেনা তা জানতে চেয়ে আগামী ১৪ জুলাই ম্ব শরিরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মামলা সুত্রে ও সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ জুন বেলা ১১টায় শহরের পার নওগাঁ স্টেডিয়াম পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মেহেদী হাসান কে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী ও তার সঙ্গীও ফোর্স বুপ্রেনরাফিন ইনজেকশন সহ আটক করে তার ঘরে প্রবেশ করে ঘরে আরো কোন মাদকদ্রব্য ইনজেকশন আছে বলে খোঁজ খুঁজির এক পর্যায়ে কোন কিছু না পেলে গামছা দিয়ে পা বেঁধে তার সহযোগী হিসেবে এক জনের নাম বলতে বলেন এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী।
আসামি মেহেদী নাম বলতে অস্বীকৃতি জানাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী বেঁধে রাখা পায়ের পাতায় একটি বাশের লাঠি দিয়ে আঘাত সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসে নিয়ে যায়। আসামি মেহেদী হাসান মারধোরে অসুস্থ হয়ে পরলে পরের দিন ২৭ জুন আদালতে পেরণ করেন। এর আগে সকালে নওগাঁ সদর মডেল থানা একটি মামলা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী।এই বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আব্দুল্লাহ হীল বাকীর সাথে একাধিক মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেয়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সহকারি পরিচালক মো: লোকমান হোসেন জানায়, মাদক সহ আসামি মেহেদীকে আটক করা হয়েছে। আমাদের অফিসে মারধর করার কোন সুযোগ নেই। আদালতে আসামির অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটা মাদক ব্যবসায়ীর মারধরের বিষয়ে আদালতে অভিযোগ করা এটি একটা কৌশল তবে তার শরীরের চিহ্ন গুলো আটক করার আগের।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানায়, আসামি মেহেদী হাসান’কে পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার শরীরে হাতের উপরের বাহু অংশ, কব্জি, দুই পায়ের গোড়ালি ও পাতার অংশে কিছু আঘাত এর চিহ্ন আছে। আদালতের আদেশে পরিক্ষা করা হয় এবং প্রতিবেদন তৈরী করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নওগাঁর মাদকদ্রব্যের এডি সহ তিনজনকে কারণ দশানোর নির্দেশ

প্রকাশিত সময় : ০১:৫০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে হাজির হয়ে নওগাঁর মাদকদ্রব্যে নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের এডি সহ তিনজনকে স্ব শরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণে দশাতে বলা হয়েছে।  নওগাঁ কোর্টে গত ২৭ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬(ক) সারণীর ১৪(ক) ধারায় নওগাঁ সদর উপজেলার আসামী মেহেদী হাসানকে নওগাঁ আদালতে হাজির করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: আয়শা সিদ্দিকী ইমা’র কাছে মারধর করার অভিযোগ করেন আসামি মেহেদী হাসান এর জবানবন্দি গ্রহণ করে কি ধরনের আঘাত
তিনি পেয়েছেন, কতো দিন পূর্বের আঘাত তা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে পরিক্ষা করে মতামত দাখিলের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নির্দেশ করলে ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে শরিরের ৫ জায়গায় আঘাতের ঘটনার নিশ্চিত করে প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমলী আদালত-১ এর বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমতিাজুল ইসলাম ৬১৫ নং স্বারক এর মাধ্যমে দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সহকারি পরিচালক মো: লোকমান হোসেন, এসআই আব্দুল্লা হিল বাকী ও সিপাই মেহেদী হাসান কে আসামী গ্রেপ্তারের পর নিজ হেপাজতে রেখে নির্যাতন বিষয়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবেনা তা জানতে চেয়ে আগামী ১৪ জুলাই ম্ব শরিরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মামলা সুত্রে ও সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ জুন বেলা ১১টায় শহরের পার নওগাঁ স্টেডিয়াম পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মেহেদী হাসান কে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী ও তার সঙ্গীও ফোর্স বুপ্রেনরাফিন ইনজেকশন সহ আটক করে তার ঘরে প্রবেশ করে ঘরে আরো কোন মাদকদ্রব্য ইনজেকশন আছে বলে খোঁজ খুঁজির এক পর্যায়ে কোন কিছু না পেলে গামছা দিয়ে পা বেঁধে তার সহযোগী হিসেবে এক জনের নাম বলতে বলেন এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী।
আসামি মেহেদী নাম বলতে অস্বীকৃতি জানাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী বেঁধে রাখা পায়ের পাতায় একটি বাশের লাঠি দিয়ে আঘাত সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসে নিয়ে যায়। আসামি মেহেদী হাসান মারধোরে অসুস্থ হয়ে পরলে পরের দিন ২৭ জুন আদালতে পেরণ করেন। এর আগে সকালে নওগাঁ সদর মডেল থানা একটি মামলা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী।এই বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আব্দুল্লাহ হীল বাকীর সাথে একাধিক মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেয়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সহকারি পরিচালক মো: লোকমান হোসেন জানায়, মাদক সহ আসামি মেহেদীকে আটক করা হয়েছে। আমাদের অফিসে মারধর করার কোন সুযোগ নেই। আদালতে আসামির অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটা মাদক ব্যবসায়ীর মারধরের বিষয়ে আদালতে অভিযোগ করা এটি একটা কৌশল তবে তার শরীরের চিহ্ন গুলো আটক করার আগের।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানায়, আসামি মেহেদী হাসান’কে পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার শরীরে হাতের উপরের বাহু অংশ, কব্জি, দুই পায়ের গোড়ালি ও পাতার অংশে কিছু আঘাত এর চিহ্ন আছে। আদালতের আদেশে পরিক্ষা করা হয় এবং প্রতিবেদন তৈরী করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।