বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেখামাত্র গুলি: যা জানতে চাইলো জাতিসংঘ

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খল বাহিনীর ‘দেখামাত্র গুলি’ চালানোর বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। পাশাপাশি তারা আন্দোলন ঠেকাতে গোলাবারুদের ব্যবহার সম্পর্কে ঢাকার কাছে জানতে চেয়েছে।

বুধবার (২৫ জুলাই) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইনশৃঙ্খলবাহিনীর সদস্যদের বিক্ষোভকারী দেখামাত্র গুলির করার যে নির্দেশনা সরকার দিয়েছে সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এ জবাব দেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের এই মুখপাত্র।

স্টিফেন ডুজারিক জানান, মানবাধিকার নীতির সব শর্ত পূরণ করে যেন শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পাঠানো হয় তা নিশ্চিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বিশ্ব সংস্থাটি।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি শান্তিরক্ষী নিয়োগের আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন জাতিসংঘের একাধিক কর্মকর্তা। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাদারি এবং মানবিক কার্যাবলির প্রশংসা করেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে সফলভাবে কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

গত ২৫ ও ২৬ এপ্রিল নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তর পরিদর্শনকালে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তখনকার প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

এদিকে, বুধবার ঢাকায় থাকা সব কূটনীতিক মিশনের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের ধ্বংসযজ্ঞের স্থান পরিদর্শনে নিয়ে যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এসময় জাতিসংঘের মনোনীত এক কূটনীতিককে থাকতে দেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘের সেই কূটনীতিকের নাম আনন্দ আলোকাবান্দারা। তিনি শ্রীলংকার নাগরিক। ঢাকায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন আলোকাবান্দারা।

এ বিষয়ে ঢাকার জাতিসংঘ কার্যালয়ের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া চাইলে ঢাকার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২৪ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজনে ধ্বংসযজ্ঞের স্থান পরিদর্শনে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় থেকে দুই জনকে মনোনীত করা হয়েছিল। এর মধ্যে থেকে কেন একজনকে বাদ দেয়া হয়েছে, তার ব্যাখ্যা সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দেখামাত্র গুলি: যা জানতে চাইলো জাতিসংঘ

প্রকাশিত সময় : ০৭:১৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খল বাহিনীর ‘দেখামাত্র গুলি’ চালানোর বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। পাশাপাশি তারা আন্দোলন ঠেকাতে গোলাবারুদের ব্যবহার সম্পর্কে ঢাকার কাছে জানতে চেয়েছে।

বুধবার (২৫ জুলাই) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইনশৃঙ্খলবাহিনীর সদস্যদের বিক্ষোভকারী দেখামাত্র গুলির করার যে নির্দেশনা সরকার দিয়েছে সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এ জবাব দেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের এই মুখপাত্র।

স্টিফেন ডুজারিক জানান, মানবাধিকার নীতির সব শর্ত পূরণ করে যেন শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পাঠানো হয় তা নিশ্চিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বিশ্ব সংস্থাটি।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি শান্তিরক্ষী নিয়োগের আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন জাতিসংঘের একাধিক কর্মকর্তা। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাদারি এবং মানবিক কার্যাবলির প্রশংসা করেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে সফলভাবে কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

গত ২৫ ও ২৬ এপ্রিল নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তর পরিদর্শনকালে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তখনকার প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

এদিকে, বুধবার ঢাকায় থাকা সব কূটনীতিক মিশনের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের ধ্বংসযজ্ঞের স্থান পরিদর্শনে নিয়ে যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এসময় জাতিসংঘের মনোনীত এক কূটনীতিককে থাকতে দেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘের সেই কূটনীতিকের নাম আনন্দ আলোকাবান্দারা। তিনি শ্রীলংকার নাগরিক। ঢাকায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন আলোকাবান্দারা।

এ বিষয়ে ঢাকার জাতিসংঘ কার্যালয়ের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া চাইলে ঢাকার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২৪ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজনে ধ্বংসযজ্ঞের স্থান পরিদর্শনে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় থেকে দুই জনকে মনোনীত করা হয়েছিল। এর মধ্যে থেকে কেন একজনকে বাদ দেয়া হয়েছে, তার ব্যাখ্যা সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছে।