শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাতকড়া পরিয়ে কিশোরকে নেওয়া হলো আদালতে

হাতকড়া পরিয়ে ১৬ বছরের এক কিশোরকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নিয়েছে মিরপুর থানা–পুলিশ। জন্মসনদ অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিকে পড়ুয়া ওই কিশোরের বয়স ১৬ বছর ১০ মাস। তবে তাঁর বয়স ১৮ বছর দেখিয়ে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হয় সিয়াম আবদুল্লাহ নামের এই কিশোরকে। ছবি: মহুবার রহমানহাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হয় সিয়াম আবদুল্লাহ নামের এই কিশোরকে। ছবি: মহুবার রহমান

গতকাল ওই কিশোরকে যখন আদালতকক্ষে আসামির কাঠগড়ায় রাখা হয়, তখনো তার হাতে হাতকড়া ছিল। পরে শিশুটির আইনজীবী আদালতে জন্মসনদ জমা দিয়ে তাকে শিশু হিসেবে গণ্য করে মামলাটি শিশু আদালতে পাঠিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৮ শিশুটিকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আদালত কক্ষ থেকে তাঁকে বের করে আনার সময় তাঁর হাতে হাতকড়া দেখা যায়নি।

আদালত কক্ষ থেকে বের করে আনার সময় হাতকড়া ছিল না ওই কিশোরের হাতে। ছবি: মহুবার রহমান আদালত কক্ষ থেকে বের করে আনার সময় হাতকড়া ছিল না ওই কিশোরের হাতে। ছবি: মহুবার রহমান

ওই কলেজছাত্র আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের বলে, তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জে। মিরপুরের একটি হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করে। গত সোমবার দুপুরে তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর ১০ গোলচত্বরে যায়। তখন পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। সে বারবারই বলেছিল, গত বছর সে মাধ্যমিক পাস করেছে। তার বয়স ১৮ বছর না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

হাতকড়া পরিয়ে কিশোরকে নেওয়া হলো আদালতে

প্রকাশিত সময় : ০৪:৪২:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

হাতকড়া পরিয়ে ১৬ বছরের এক কিশোরকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নিয়েছে মিরপুর থানা–পুলিশ। জন্মসনদ অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিকে পড়ুয়া ওই কিশোরের বয়স ১৬ বছর ১০ মাস। তবে তাঁর বয়স ১৮ বছর দেখিয়ে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হয় সিয়াম আবদুল্লাহ নামের এই কিশোরকে। ছবি: মহুবার রহমানহাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হয় সিয়াম আবদুল্লাহ নামের এই কিশোরকে। ছবি: মহুবার রহমান

গতকাল ওই কিশোরকে যখন আদালতকক্ষে আসামির কাঠগড়ায় রাখা হয়, তখনো তার হাতে হাতকড়া ছিল। পরে শিশুটির আইনজীবী আদালতে জন্মসনদ জমা দিয়ে তাকে শিশু হিসেবে গণ্য করে মামলাটি শিশু আদালতে পাঠিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৮ শিশুটিকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আদালত কক্ষ থেকে তাঁকে বের করে আনার সময় তাঁর হাতে হাতকড়া দেখা যায়নি।

আদালত কক্ষ থেকে বের করে আনার সময় হাতকড়া ছিল না ওই কিশোরের হাতে। ছবি: মহুবার রহমান আদালত কক্ষ থেকে বের করে আনার সময় হাতকড়া ছিল না ওই কিশোরের হাতে। ছবি: মহুবার রহমান

ওই কলেজছাত্র আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের বলে, তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জে। মিরপুরের একটি হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করে। গত সোমবার দুপুরে তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর ১০ গোলচত্বরে যায়। তখন পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। সে বারবারই বলেছিল, গত বছর সে মাধ্যমিক পাস করেছে। তার বয়স ১৮ বছর না।