শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

যশোরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এসময় সেখান থেকে অন্তত ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এ লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা হত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে ও জাতিসংঘের তদন্তপূর্বক বিচার দাবি এবং ছাত্র সমাজের নয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকাল থেকে যশোরের শহরের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন।

পূর্ব নির্ধারিত ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা যশোর পৌরসভার সামনে জড়ো হয়ে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শহরের ঈদগাহ মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ আবারও বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনের চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং বাকিরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতালে ভর্তি আহতদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীরা অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। এছাড়া একই সময়ে শহরের ঈদগাহ মোড় এলাকা থেকে রনি, আকাশ, রানা, তৌহিদুল, রিয়াজ ও ইব্রাহিম নামে ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান জানান, তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাধা দিয়ে আটক করে তাদের আন্দোলন প্রতিহত করা যাবে না, তারা রাজপথে ছিলেন এবং থাকবেন বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তবে ছয় শিক্ষার্থীকে আটকের বিষয়ে যশোর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। পরে আটককৃতদের অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

যশোরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

প্রকাশিত সময় : ১১:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

যশোরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এসময় সেখান থেকে অন্তত ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এ লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা হত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে ও জাতিসংঘের তদন্তপূর্বক বিচার দাবি এবং ছাত্র সমাজের নয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকাল থেকে যশোরের শহরের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন।

পূর্ব নির্ধারিত ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা যশোর পৌরসভার সামনে জড়ো হয়ে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শহরের ঈদগাহ মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ আবারও বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনের চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং বাকিরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতালে ভর্তি আহতদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীরা অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। এছাড়া একই সময়ে শহরের ঈদগাহ মোড় এলাকা থেকে রনি, আকাশ, রানা, তৌহিদুল, রিয়াজ ও ইব্রাহিম নামে ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান জানান, তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাধা দিয়ে আটক করে তাদের আন্দোলন প্রতিহত করা যাবে না, তারা রাজপথে ছিলেন এবং থাকবেন বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তবে ছয় শিক্ষার্থীকে আটকের বিষয়ে যশোর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। পরে আটককৃতদের অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।