বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প পুনঃনির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে উত্তর কোরিয়া

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুনঃনির্বাচিত হলে উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চায়। উত্তর কোরিয়ার সাবেক একজন সিনিয়র কূটনীতিক রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওই কূটনীতিক সম্প্রতি পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। কিউবা থেকে রি ইল গিউ-এর পলায়ন গত মাসে বিশ্বব্যাপী শিরোনাম হয়েছিল। ২০১৬ সাল থেকে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক ছিলেন।

রি জানিয়েছেন, একটি নতুন আলোচনার কৌশল তৈরি করার জন্য কাজ করছে উত্তর কোরিয়া।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সাথে তার প্রথম সাক্ষাৎতারে রি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া চলতি বছর এবং পরবর্তী সময়ের জন্য রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানকে পররাষ্ট্র নীতিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয় হিসাবে নির্ধারণ করেছে।

তিনি জানান, রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় চালু করতে আগ্রহী। অবশ্য ট্রাম্প যদি নভেম্বরে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন, তখনই কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজী উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের কূটনীতিকরা সেই পরিস্থিতির জন্য একটি কৌশল তৈরি করছেন। যার লক্ষ্য হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসাবে এর উপাধি বাতিল এবং অর্থনৈতিক সহায়তা।

২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষনেতা কিম জং উনের প্রথম বৈঠক হয়। এর পর ভিয়েতনামেও তাদের দেখা হয়। কিন্তু অগ্রগতি ছাড়াই আলোচনা ভেঙে যায়। ২০১৯ সালে উত্তর কোরিয়াতেই উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ট্রাম্প পুনঃনির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে উত্তর কোরিয়া

প্রকাশিত সময় : ০৭:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুনঃনির্বাচিত হলে উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চায়। উত্তর কোরিয়ার সাবেক একজন সিনিয়র কূটনীতিক রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওই কূটনীতিক সম্প্রতি পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। কিউবা থেকে রি ইল গিউ-এর পলায়ন গত মাসে বিশ্বব্যাপী শিরোনাম হয়েছিল। ২০১৬ সাল থেকে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক ছিলেন।

রি জানিয়েছেন, একটি নতুন আলোচনার কৌশল তৈরি করার জন্য কাজ করছে উত্তর কোরিয়া।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সাথে তার প্রথম সাক্ষাৎতারে রি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া চলতি বছর এবং পরবর্তী সময়ের জন্য রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানকে পররাষ্ট্র নীতিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয় হিসাবে নির্ধারণ করেছে।

তিনি জানান, রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় চালু করতে আগ্রহী। অবশ্য ট্রাম্প যদি নভেম্বরে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন, তখনই কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজী উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের কূটনীতিকরা সেই পরিস্থিতির জন্য একটি কৌশল তৈরি করছেন। যার লক্ষ্য হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসাবে এর উপাধি বাতিল এবং অর্থনৈতিক সহায়তা।

২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষনেতা কিম জং উনের প্রথম বৈঠক হয়। এর পর ভিয়েতনামেও তাদের দেখা হয়। কিন্তু অগ্রগতি ছাড়াই আলোচনা ভেঙে যায়। ২০১৯ সালে উত্তর কোরিয়াতেই উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প।