দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, যারা আগের রাতে ভোট চুরি করে নিয়ে যায়, ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে, বন্দুক আর পিস্তল দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কৃষক দলের বর্ধিত সভা উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সারা দেশ থেকে কৃষক দলের জেলা প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
‘বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র নেই’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, তার কথায় ঘোড়াও হাসে। তাদের গণতন্ত্র মুখেই শুধু। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। মানুষ ভোট দিতে পারেননি। বর্তমান সরকার ১২ বছর ধরে এ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করছে। শেখ হাসিনার প্রতি, আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নেই। মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষাকে নষ্ট করে দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র মানে খালেদা জিয়া। কিন্তু মিথ্যা মামলায় তাকে আটকে রাখা হয়েছে। দেশের বর্তমান সংকট শুধু বিএনপির নয়, পুরো জাতির।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীন। সেখানে মানুষ নিজের ভোট দিতে পারবে।
সার্চ কমিটির সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিসের সার্চ কমিটি? আপনারা যাকে চাইবেন, সে-ই হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আওয়ামী লীগ কোথায়? এখন সমস্ত হচ্ছে আমলা লীগ। আপনারা যে যেখানে যাবেন দেখবেন ডিসি, এসপি, ওসি- এরা অনেক বড় সাহেব। ওদের (আওয়ামী লীগ) চাইতে অনেক বড়।
তিনি বলেন, ওরা নিজেরাই বলে মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ। ওরাই বলে না… এই যে অবস্থা তৈরি করেছে, এই অবস্থার জন্য শেখ হাসিনাকে, তার সরকারকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সত্যি কথা বলায় তাকে সরকারের মন্ত্রীরা মানসিক রোগী বলছেন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, মানসিক রোগী আপনারা। ঘর থেকে তো বের হতে দেখি না। জনগণের কাছে আসেন। পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।
কৃষক দলের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার কৃষকদের সবচেয়ে বেশি করুণ অবস্থায় নিয়ে গেছে। তারা ফসলের মূল্য পান না। ঋণে জর্জরিত। চালের দাম ৭০ টাকা হলেও কৃষক সেই দাম পান না। কৃষকদের সঙ্গে থাকতে হবে। শুধু পোশাকি দল বানাবেন না। কৃষকের কাছেও যেতে হবে। তাদের জন্য আন্দোলন করতে হবে। কৃষকদের জাগিয়ে তুলতে হবে। নয়তো গণতন্ত্রের আন্দোলন সফল হবে না।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফিরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সভা সঞ্চালনা করেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর হাসান জাফির ও শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কৃষক দলের আংশিক কমিটি গঠনের পর এটি তাদের প্রথম সম্মেলন। দিনব্যাপী এ সম্মেলনে জেলা প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য রাখেন।
