শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লেবাননে বিক্ষোভে গুলি, নিহত অন্তত ৬

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ডাকে শুরু হওয়া এক বিক্ষোভে গুলিতে অন্তত ৫ জন নিহত এবং ৩০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।

গত বছর বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত থেকে এক বিচারককে অপসারণের দাবিতে হিজবুল্লাহর ডাকে বিক্ষোভে নেমেছেন লেবাননের হাজারো মানুষ।

বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর সমথর্করা কালো পোশাক পরে বৈরুত জাস্টিস প্যালেসের সামনে জড়ো হন। বৈরুত বিস্ফোরণের তদন্ত থেকে বিচারক তারেক বিতারকে অপসারণের আহ্বান জানিয়ে তাকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও আমেরিকান দাস’ হিসেবে অভিযুক্ত করেন বিক্ষুব্ধরা।

বৈরুতের রাজপথে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। বিক্ষোভের সময় কারা গুলি চালিয়েছে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।

বিক্ষোভকারীদের পাশের এলাকা তায়উন থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা গলাগুলিতে স্নাইপারের গুলি এবং রকেটচালিত গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এই দৃশ্য দেশটির ১৯৭৫-১৯৯০ সালে চলা গৃহযুদ্ধের স্মৃতি উসকে দিচ্ছে।

এই ঘটনার পরপরই হস্তক্ষেপ করেছে লেবাননের সেনাবাহিনী।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিও সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

অপরদিকে সাধারণ মানুষকে ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় সেনাবাহিনী।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ এবং আমাল মুভমেন্টের পক্ষ থেকে তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকা এবং বিদ্বেষপূর্ণ কর্মকাণ্ডের দিকে না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

গত বছরের ৪ আগস্ট দুই দফায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে লেবাননের রাজধানী বৈরুত। এ ঘটনায় ২১৯ জন নিহত এবং সাড়ে ৬ হাজার জন আহত হন।

বিস্ফোরণটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অ-পারমাণবিক বিস্ফোরণের একটি এবং লেবাননের অস্থির ইতিহাসের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক একক ঘটনা। দেশটির রাজধানীর বিশাল ধ্বংস হয়ে গেছে এই বিস্ফোরণে।

বৈরুতের বিস্ফোরণের তদন্ত নিয়ে এর আগেও স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠেছিল। এবার এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামল দেশটির জনগণ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

লেবাননে বিক্ষোভে গুলি, নিহত অন্তত ৬

প্রকাশিত সময় : ০৭:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ডাকে শুরু হওয়া এক বিক্ষোভে গুলিতে অন্তত ৫ জন নিহত এবং ৩০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।

গত বছর বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত থেকে এক বিচারককে অপসারণের দাবিতে হিজবুল্লাহর ডাকে বিক্ষোভে নেমেছেন লেবাননের হাজারো মানুষ।

বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর সমথর্করা কালো পোশাক পরে বৈরুত জাস্টিস প্যালেসের সামনে জড়ো হন। বৈরুত বিস্ফোরণের তদন্ত থেকে বিচারক তারেক বিতারকে অপসারণের আহ্বান জানিয়ে তাকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও আমেরিকান দাস’ হিসেবে অভিযুক্ত করেন বিক্ষুব্ধরা।

বৈরুতের রাজপথে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। বিক্ষোভের সময় কারা গুলি চালিয়েছে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।

বিক্ষোভকারীদের পাশের এলাকা তায়উন থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা গলাগুলিতে স্নাইপারের গুলি এবং রকেটচালিত গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এই দৃশ্য দেশটির ১৯৭৫-১৯৯০ সালে চলা গৃহযুদ্ধের স্মৃতি উসকে দিচ্ছে।

এই ঘটনার পরপরই হস্তক্ষেপ করেছে লেবাননের সেনাবাহিনী।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিও সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

অপরদিকে সাধারণ মানুষকে ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় সেনাবাহিনী।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ এবং আমাল মুভমেন্টের পক্ষ থেকে তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকা এবং বিদ্বেষপূর্ণ কর্মকাণ্ডের দিকে না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

গত বছরের ৪ আগস্ট দুই দফায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে লেবাননের রাজধানী বৈরুত। এ ঘটনায় ২১৯ জন নিহত এবং সাড়ে ৬ হাজার জন আহত হন।

বিস্ফোরণটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অ-পারমাণবিক বিস্ফোরণের একটি এবং লেবাননের অস্থির ইতিহাসের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক একক ঘটনা। দেশটির রাজধানীর বিশাল ধ্বংস হয়ে গেছে এই বিস্ফোরণে।

বৈরুতের বিস্ফোরণের তদন্ত নিয়ে এর আগেও স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠেছিল। এবার এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামল দেশটির জনগণ।