শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো মমেক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

শাস্তি পাওয়াদের মধ্যে দুই জনকে আজীবন হোস্টেলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্য ১১ জনকে হোস্টেল থেকে আজীবন নিষিদ্ধের পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদে ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানানো হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক বাণিজ্য ও মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক জরুরি সভা শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে  শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে অভিযুক্ত এই ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ স্থগিত করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে এবং সশরীরে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়।

শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ডা. প্রতীক বিশ্বাস, ডা. আবু সালেহ মো. লতিফুল কবির কৌশিক, ডা. সুনীতি কুমার দাস এবং ডা. ফায়াদুর রহমান আকাশকে হোস্টেলে আজীবন নিষিদ্ধ এবং দুই বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ডা. নাইমুর রশীদ, ডা. মেহেদী হাসান রোমান, ডা. আবু তাহের বিপ্লব রুবেল, ডা. কামরুল হাসান ও ডা. আবু রায়হানকে হোস্টেলে আজীবন নিষিদ্ধ এবং এক বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ড. সাখাওয়াত হোসেন সিফাত নামের একজনকে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ডা. শামীম রেজাকে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং তার ইন্টার্নশিপের সার্টিফিকেট এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ডা. অর্নব কুন্ড এবং ডা. কাশফি তাবরিজকে হোস্টেলে আজীবন নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের ইন্টার্নশিপের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মির্জা ফখরুলের

১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো মমেক

প্রকাশিত সময় : ১১:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

শাস্তি পাওয়াদের মধ্যে দুই জনকে আজীবন হোস্টেলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্য ১১ জনকে হোস্টেল থেকে আজীবন নিষিদ্ধের পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদে ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানানো হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক বাণিজ্য ও মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক জরুরি সভা শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে  শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে অভিযুক্ত এই ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ স্থগিত করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে এবং সশরীরে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়।

শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ডা. প্রতীক বিশ্বাস, ডা. আবু সালেহ মো. লতিফুল কবির কৌশিক, ডা. সুনীতি কুমার দাস এবং ডা. ফায়াদুর রহমান আকাশকে হোস্টেলে আজীবন নিষিদ্ধ এবং দুই বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ডা. নাইমুর রশীদ, ডা. মেহেদী হাসান রোমান, ডা. আবু তাহের বিপ্লব রুবেল, ডা. কামরুল হাসান ও ডা. আবু রায়হানকে হোস্টেলে আজীবন নিষিদ্ধ এবং এক বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ড. সাখাওয়াত হোসেন সিফাত নামের একজনকে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ডা. শামীম রেজাকে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং তার ইন্টার্নশিপের সার্টিফিকেট এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ডা. অর্নব কুন্ড এবং ডা. কাশফি তাবরিজকে হোস্টেলে আজীবন নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের ইন্টার্নশিপের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম।