রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কীভাবে ভারতে গেলেন, জানে না বিজিবি

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সীমান্ত পথে অবৈধভাবে কীভাবে ভারতে গেলেন, বিজিবির কাছে সে তথ্য নেই জানিয়ে বাহিনীটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘এত নজরদারির মধ্যেও কীভাবে ভারতে পালিয়ে গেছেন মামলার আসামিরা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশ থেকে পালানোর ঘটনায় বিজিবির দায় আছে। তো শুধু কি বিজিবিই দায়বদ্ধ? কোন সীমান্ত দিয়ে কে পালিয়ে গেছেন, তা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘গত ৬ আগস্ট থেকে যে স্ক্রল দেখেছেন যে, সীমান্ত পথে পালানো রোধে বিজিবিকে সহায়তা করুন, এই নির্দেশনা কেউ বিজিবিকে দেয়নি। নিজ উদ্যোগে করেছি। তখন থেকে আমরা চেষ্টা করছি। তথ্য দেওয়ার যে সব সংস্থা আছে তারাও যদি তথ্য দেন তাহলে কাজটা সহজ হয়।’

মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘সবাই কি পালিয়ে গেছে? আমার মনে হয় না। জনবহুল এই দেশে কেউ কেউ আত্মগোপনে আছেন।’

আসামি ধরতে বিজিবির অভিযানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ী বদিকে (আওয়ামী লীগদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি) ধরার জন্য বেশকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। শোনা গেল তিনি ট্রলারে করে মিয়ানমার গেছেন, কিন্তু গ্রেপ্তার হলেন সীতাকুণ্ড থেকে। এরকম একদিকে যাওয়ার আওয়াজ দিয়ে, অন্য দিক থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন অনেকে।’

সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনাদের কাছেও তথ্য থাকে। বিজিবিকে জানান, আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা পালানো রোধে বদ্ধপরিকর।’

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ ঠেকাতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বিজিবিকে দায়িত্ব দিয়েছিল জানিয়ে বাহিনীটির মহাপরিচালক বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে ইচ্ছে করেই ঝুঁকি কমাতে বিজিবি ভারী গোলা মোতায়েন করেনি। বিজিবিকে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু সেটি করিনি আমরা। সরকারি আদেশ মান্য করার পাশাপাশি অভ্যুত্থানে বিজিবি ছাত্রদের সহায়তা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট ‘‘লংমার্চ টু ঢাকা’’ ঠেকাতে বিজিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অনেক বড় বড় জায়গা থেকে রিকোয়েস্ট (অনুরোধ) করা হয়েছিল। অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার পক্ষে কৌশলগতভাবে কাজ করেছে বিজিবি।’

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। স্যাবটাজ হতে পারে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কীভাবে ভারতে গেলেন, জানে না বিজিবি

প্রকাশিত সময় : ০৫:৪১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সীমান্ত পথে অবৈধভাবে কীভাবে ভারতে গেলেন, বিজিবির কাছে সে তথ্য নেই জানিয়ে বাহিনীটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘এত নজরদারির মধ্যেও কীভাবে ভারতে পালিয়ে গেছেন মামলার আসামিরা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশ থেকে পালানোর ঘটনায় বিজিবির দায় আছে। তো শুধু কি বিজিবিই দায়বদ্ধ? কোন সীমান্ত দিয়ে কে পালিয়ে গেছেন, তা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘গত ৬ আগস্ট থেকে যে স্ক্রল দেখেছেন যে, সীমান্ত পথে পালানো রোধে বিজিবিকে সহায়তা করুন, এই নির্দেশনা কেউ বিজিবিকে দেয়নি। নিজ উদ্যোগে করেছি। তখন থেকে আমরা চেষ্টা করছি। তথ্য দেওয়ার যে সব সংস্থা আছে তারাও যদি তথ্য দেন তাহলে কাজটা সহজ হয়।’

মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘সবাই কি পালিয়ে গেছে? আমার মনে হয় না। জনবহুল এই দেশে কেউ কেউ আত্মগোপনে আছেন।’

আসামি ধরতে বিজিবির অভিযানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ী বদিকে (আওয়ামী লীগদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি) ধরার জন্য বেশকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। শোনা গেল তিনি ট্রলারে করে মিয়ানমার গেছেন, কিন্তু গ্রেপ্তার হলেন সীতাকুণ্ড থেকে। এরকম একদিকে যাওয়ার আওয়াজ দিয়ে, অন্য দিক থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন অনেকে।’

সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনাদের কাছেও তথ্য থাকে। বিজিবিকে জানান, আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা পালানো রোধে বদ্ধপরিকর।’

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ ঠেকাতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বিজিবিকে দায়িত্ব দিয়েছিল জানিয়ে বাহিনীটির মহাপরিচালক বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে ইচ্ছে করেই ঝুঁকি কমাতে বিজিবি ভারী গোলা মোতায়েন করেনি। বিজিবিকে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু সেটি করিনি আমরা। সরকারি আদেশ মান্য করার পাশাপাশি অভ্যুত্থানে বিজিবি ছাত্রদের সহায়তা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট ‘‘লংমার্চ টু ঢাকা’’ ঠেকাতে বিজিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অনেক বড় বড় জায়গা থেকে রিকোয়েস্ট (অনুরোধ) করা হয়েছিল। অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার পক্ষে কৌশলগতভাবে কাজ করেছে বিজিবি।’

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। স্যাবটাজ হতে পারে।’