রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাদের-নানক-হারুনের তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার: র‍্যাব

তথ্য পেলেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

আজ রবিবার দুপুরে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

কাদের, নানক ও হারুন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের বিষয়ে আমাদের কাজ চলমান। তথ্য পেলেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।’

ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট পর থেকে এখন পর্যন্ত র‍্যাব ১ হাজার ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে বিগত সরকারের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ জন আছে। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে অস্ত্রহাতে ছাত্র-জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। কেউ যদি কোনো তথ্য পান তাহলে র‍্যাবকে দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র‍্যাব সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।’

গণহত্যার মামলায় র‍্যাবের কোনো সদস্য আসামির তালিকায় রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘র‍্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি। সেই সঙ্গে অন্যান্য বাহিনীতে হলেও র‍্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘র‍্যাবে আটটি বাহিনী থেকে সদস্য নেওয়া হয়। এই বাহিনীর ১০ হাজার সদস্যের প্রায় ৪৪ শতাংশ নেওয়া হয় পুলিশ থেকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় র‌্যাবে কোনো সমস্যা ছিল না। আন্দোলনে র‍্যাব কখনোই মারণাস্ত্র-গুলি ব্যবহার করেনি। র‍্যাব আন্দোলনের সঙ্গে ছিল এবং অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কাদের-নানক-হারুনের তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার: র‍্যাব

প্রকাশিত সময় : ০৪:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

তথ্য পেলেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

আজ রবিবার দুপুরে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

কাদের, নানক ও হারুন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের বিষয়ে আমাদের কাজ চলমান। তথ্য পেলেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।’

ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট পর থেকে এখন পর্যন্ত র‍্যাব ১ হাজার ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে বিগত সরকারের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ জন আছে। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে অস্ত্রহাতে ছাত্র-জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। কেউ যদি কোনো তথ্য পান তাহলে র‍্যাবকে দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র‍্যাব সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।’

গণহত্যার মামলায় র‍্যাবের কোনো সদস্য আসামির তালিকায় রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘র‍্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি। সেই সঙ্গে অন্যান্য বাহিনীতে হলেও র‍্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘র‍্যাবে আটটি বাহিনী থেকে সদস্য নেওয়া হয়। এই বাহিনীর ১০ হাজার সদস্যের প্রায় ৪৪ শতাংশ নেওয়া হয় পুলিশ থেকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় র‌্যাবে কোনো সমস্যা ছিল না। আন্দোলনে র‍্যাব কখনোই মারণাস্ত্র-গুলি ব্যবহার করেনি। র‍্যাব আন্দোলনের সঙ্গে ছিল এবং অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে।’