মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রকে অপহরণ করে বিয়ে করলেন তরুণী

মুঠোফোনে নাজমুল আকনকে (২৩) একাধিকবার প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেয় এক নারী। তবে নাজমুলকে কোনোভাবেই রাজি করানো যায়নি। এরপর সেই তরুণকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ৩ অক্টোবর পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাজমুল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এক নারীসহ অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নাজমুল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত ছাত্র। মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের জালাল আকনের ছেলে তিনি।

নাজমুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, নাজমুল কলেজের আবাসিক হোস্টেলে থাকেন। দীর্ঘ দিন ধরে নাজমুলকে মুঠোফোন এবং অনলাইনে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন এক নারী। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে।

অপহরণের পর দিনই ৭-৮ জন জোর করে তাকে দিয়ে একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। জায়গাটি কোথায়, সেটাও আঁছ করতে পারেননি নাজমুল। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই সাক্ষরের মাধ্যমে তারা একটি কাবিননামা তৈরির চেষ্টা করছেন।

এদিকে নাজমুলকে অপহরণ এবং জোরপূর্বক বিয়ের একটি ভিডিও ফুটেজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, স্বাক্ষর গ্রহণের পর নাজমুলকে মিষ্টি খাইয়ে দিলে তিনি তা মুখ থেকে ফেলে দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তরুণী বলেন, নাজমুলের সঙ্গে তার দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নাজমুল নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন। অপহরণ কিংবা জোরপূর্বক বিয়ে করার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ কারণে বর্তমানে তিনি নাজমুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।-ডেইলি বাংলাদেশ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রকে অপহরণ করে বিয়ে করলেন তরুণী

প্রকাশিত সময় : ০৫:২৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

মুঠোফোনে নাজমুল আকনকে (২৩) একাধিকবার প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেয় এক নারী। তবে নাজমুলকে কোনোভাবেই রাজি করানো যায়নি। এরপর সেই তরুণকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ৩ অক্টোবর পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাজমুল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এক নারীসহ অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নাজমুল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত ছাত্র। মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের জালাল আকনের ছেলে তিনি।

নাজমুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, নাজমুল কলেজের আবাসিক হোস্টেলে থাকেন। দীর্ঘ দিন ধরে নাজমুলকে মুঠোফোন এবং অনলাইনে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন এক নারী। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে।

অপহরণের পর দিনই ৭-৮ জন জোর করে তাকে দিয়ে একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। জায়গাটি কোথায়, সেটাও আঁছ করতে পারেননি নাজমুল। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই সাক্ষরের মাধ্যমে তারা একটি কাবিননামা তৈরির চেষ্টা করছেন।

এদিকে নাজমুলকে অপহরণ এবং জোরপূর্বক বিয়ের একটি ভিডিও ফুটেজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, স্বাক্ষর গ্রহণের পর নাজমুলকে মিষ্টি খাইয়ে দিলে তিনি তা মুখ থেকে ফেলে দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তরুণী বলেন, নাজমুলের সঙ্গে তার দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নাজমুল নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন। অপহরণ কিংবা জোরপূর্বক বিয়ে করার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ কারণে বর্তমানে তিনি নাজমুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।-ডেইলি বাংলাদেশ