শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবারণা উৎসবে কুয়াকাটার আকাশে ফানুসের মেলা

বৌদ্ধদের প্রবারণা উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় বসেছে ফানুসের মেলা। স্থানীয়সহ পর্যটকরাও মেতেছেন একের পর এক রং-বেরংয়ের ফানুস উড়িয়ে উৎসবের ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে। ফানুস উড়ানোর এ উৎসবে সামিল হন সকল ধর্মের মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, অমখোলাপাড়া, মিস্রিপাড়া, কলাচানপাড়া ও নয়াপাড়াসহ জেলার সকল রাখাইন পাড়াগুলোতে এসব ফানুস উড়ানো হয়।

ফানুস উড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নাচে গানে মেতে ওঠে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। এ সময় হাজারো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করা হয়। এ ছাড়া লাইটিংয়ের মাধ্যমে বিহারগুলো সাজানো হয় নতুন সাজে।

বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম এ ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে দিনভর ছিল নানা আয়োজন। সকালে পঞ্চশীল, অষ্টশীল প্রার্থনা, বুদ্ধপূজা এবং দিনভর বিহারগুলোতে অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় আলোচনা।

বুদ্ধের স্মরণে বিভিন্ন ফল ও হরেক রকমের পিঠাপুলি বৌদ্ধ ভিক্ষুকে প্রদান করেন বয়স্ক নারী পুরুষরা। মোটকথা উৎসব ঘিরে জেলার রাখাইন পাড়াগুলোতে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন বৌদ্ধরা। বৌদ্ধ বিহারগুলোতে সমাবেশ ঘটে বৌদ্ধভিক্ষুসহ হাজারো রাখাইন নর-নারীর।

মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ বিহারের পুরোহিত উত্তম ভিক্ষু বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব এ প্রবারণা পূর্ণিমা। এই দিন গৌতম বুদ্ধ ধর্ম প্রচার শুরু করেন। এ কারণে এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাই আজ আমরা ফানুস উড়ানোসহ নানা ধর্মীয় আয়োজনে দিনটি উদযাপন করেছি।’

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এটি রাখাইনদের উৎসব হলেও বর্তমানে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতিটি পাড়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সেনা সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে।’

গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর এ সময় ফানুস উড়িয়ে এবং ধর্মীয় নানা আয়োজনের মাধ্যমে গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করে আসছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

প্রবারণা উৎসবে কুয়াকাটার আকাশে ফানুসের মেলা

প্রকাশিত সময় : ১২:০৫:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

বৌদ্ধদের প্রবারণা উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় বসেছে ফানুসের মেলা। স্থানীয়সহ পর্যটকরাও মেতেছেন একের পর এক রং-বেরংয়ের ফানুস উড়িয়ে উৎসবের ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে। ফানুস উড়ানোর এ উৎসবে সামিল হন সকল ধর্মের মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, অমখোলাপাড়া, মিস্রিপাড়া, কলাচানপাড়া ও নয়াপাড়াসহ জেলার সকল রাখাইন পাড়াগুলোতে এসব ফানুস উড়ানো হয়।

ফানুস উড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নাচে গানে মেতে ওঠে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। এ সময় হাজারো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করা হয়। এ ছাড়া লাইটিংয়ের মাধ্যমে বিহারগুলো সাজানো হয় নতুন সাজে।

বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম এ ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে দিনভর ছিল নানা আয়োজন। সকালে পঞ্চশীল, অষ্টশীল প্রার্থনা, বুদ্ধপূজা এবং দিনভর বিহারগুলোতে অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় আলোচনা।

বুদ্ধের স্মরণে বিভিন্ন ফল ও হরেক রকমের পিঠাপুলি বৌদ্ধ ভিক্ষুকে প্রদান করেন বয়স্ক নারী পুরুষরা। মোটকথা উৎসব ঘিরে জেলার রাখাইন পাড়াগুলোতে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন বৌদ্ধরা। বৌদ্ধ বিহারগুলোতে সমাবেশ ঘটে বৌদ্ধভিক্ষুসহ হাজারো রাখাইন নর-নারীর।

মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ বিহারের পুরোহিত উত্তম ভিক্ষু বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব এ প্রবারণা পূর্ণিমা। এই দিন গৌতম বুদ্ধ ধর্ম প্রচার শুরু করেন। এ কারণে এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাই আজ আমরা ফানুস উড়ানোসহ নানা ধর্মীয় আয়োজনে দিনটি উদযাপন করেছি।’

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এটি রাখাইনদের উৎসব হলেও বর্তমানে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতিটি পাড়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সেনা সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে।’

গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর এ সময় ফানুস উড়িয়ে এবং ধর্মীয় নানা আয়োজনের মাধ্যমে গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করে আসছেন।