বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাইম কাসেমকে দলের নেতা ঘোষণা করলো হিজবুল্লাহ

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ নাইম কাসেমকে দলের নতুন প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার দলের এই সাবেক উপ-প্রধানকে শীর্ষনেতা করার বিষয়টি জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।

এর মাধ্যমে হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হলেন নাইম।

সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ইসরায়েলি হামলায় বৈরুতে নিহত হন নাসরাল্লাহ। ওই মাসে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর আরো অনেক সিনিয়র কর্মকর্তাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছিল।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, নাইম কাসেম ‘হিজবুল্লাহর নীতি ও লক্ষ্যের প্রতি আনুগত্যের কারণে’ শীর্ষনেতার পদ গ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

৭১ বছর বয়সী নাইমকে প্রায়শই হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় নেতা হিসাবে উল্লেখ করা হতো। তিনি নাবাতিহ গভর্নরেটের কাফার কিলাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শিয়া রাজনৈতিক সক্রিয়তায় নাইম কাসেমের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭০এর দশকে তিনি প্রয়াত ইমাম মুসা আল-সদরের আন্দোলনে যোগ দেন, যা শেষ পর্যন্ত লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী আমাল আন্দোলনের অংশ হয়ে ওঠে। পরে তিনি আমাল ত্যাগ করেন এবং ১৯৮০ -এর দশকের গোড়ার দিকে হিজবুল্লাহতে যোগ দেন তিনি  এবং এই গোষ্ঠীর মৌলিক ধর্মীয় পণ্ডিতদের একজন হয়ে ওঠেন।

কাসেম কয়েক দশক ধরে বৈরুতে ধর্মীয় ক্লাস নিয়েছেন। তিনি হিজবুল্লাহর শিক্ষাগত নেটওয়ার্কের অংশ তত্ত্বাবধান করতেন এবং গোষ্ঠীটির সংসদীয় কার্যক্রম তদারকিতেও জড়িত ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল নির্বাচিত হন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নাইম কাসেমকে দলের নেতা ঘোষণা করলো হিজবুল্লাহ

প্রকাশিত সময় : ০৪:৫০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ নাইম কাসেমকে দলের নতুন প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার দলের এই সাবেক উপ-প্রধানকে শীর্ষনেতা করার বিষয়টি জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।

এর মাধ্যমে হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হলেন নাইম।

সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ইসরায়েলি হামলায় বৈরুতে নিহত হন নাসরাল্লাহ। ওই মাসে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর আরো অনেক সিনিয়র কর্মকর্তাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছিল।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, নাইম কাসেম ‘হিজবুল্লাহর নীতি ও লক্ষ্যের প্রতি আনুগত্যের কারণে’ শীর্ষনেতার পদ গ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

৭১ বছর বয়সী নাইমকে প্রায়শই হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় নেতা হিসাবে উল্লেখ করা হতো। তিনি নাবাতিহ গভর্নরেটের কাফার কিলাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শিয়া রাজনৈতিক সক্রিয়তায় নাইম কাসেমের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭০এর দশকে তিনি প্রয়াত ইমাম মুসা আল-সদরের আন্দোলনে যোগ দেন, যা শেষ পর্যন্ত লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী আমাল আন্দোলনের অংশ হয়ে ওঠে। পরে তিনি আমাল ত্যাগ করেন এবং ১৯৮০ -এর দশকের গোড়ার দিকে হিজবুল্লাহতে যোগ দেন তিনি  এবং এই গোষ্ঠীর মৌলিক ধর্মীয় পণ্ডিতদের একজন হয়ে ওঠেন।

কাসেম কয়েক দশক ধরে বৈরুতে ধর্মীয় ক্লাস নিয়েছেন। তিনি হিজবুল্লাহর শিক্ষাগত নেটওয়ার্কের অংশ তত্ত্বাবধান করতেন এবং গোষ্ঠীটির সংসদীয় কার্যক্রম তদারকিতেও জড়িত ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল নির্বাচিত হন।