বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারীদের বিরুদ্ধে তালেবানের নতুন নিষেধাজ্ঞা

আফগানিস্তানে নারীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করলো তালেবান কর্তৃপক্ষ। এবার আফগান নারীদের অন্য নারীর সামনে শব্দ করে কোরআন বা নামাজ পড়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) ফক্স নিউজের অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তালেবান সরকারের পাপ ও পূণ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী খালিদ হানাফি এনিয়ে দেশটির মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর পেজে ভয়েস বার্তা পোস্ট করেছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে তিনি মুছে দেন বলে নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা এপি। খালিদ হানাফি বলেছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যখন নামাজ বা কোরআন পড়বেন এবং তখন তার পাশ দিয়ে কোনো নারী গেলে তিনি যেন কোনো শব্দ শুনতে না পারেন। হানাফি জানিয়েছেন, একজন নারীর কণ্ঠস্বরকে ‘আওরাহ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়- যার অর্থ এটি সবসময় গোপন করা উচিত এবং জনসমক্ষে শোনা উচিত নয়। এমনকি কোনো নারীরও অন্য নারীর আওয়াজ শোনা উচিত নয়। আর এই কারণেই এই নিয়ম। তবে খালিদ হানাফি এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি। ফক্স নিউজ বলছে, ইতোমধ্যে তালেবান শাসনের অধীনে আফগানিস্তানের নারীরা প্রকাশ্যে কথা বলতে পারেন না। তাদের মুখসহ পুরো শরীর ঢেকে রাখতে হয়। গত সোমবার হানাফি বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর জন্য অন্য প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সামনে কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। এমনকি আল্লাহু আকবার উচ্চারণ করাও অনুমোদিত নয়। এ ছাড়া গত আগস্টে তালেবান সরকারের পাপ ও পূণ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আরোপিত আইনে বলা হয়েছে, জনসমক্ষে বা বাড়ির ভেতরে নারীরা জোরে কথা বলতে পারবেন না। বাড়িতে এমনভাবে কথা বলতে হবে যেন বাইরে তাদের কণ্ঠস্বর কেউ শুনতে না পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নারীদের বিরুদ্ধে তালেবানের নতুন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত সময় : ১০:১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

আফগানিস্তানে নারীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করলো তালেবান কর্তৃপক্ষ। এবার আফগান নারীদের অন্য নারীর সামনে শব্দ করে কোরআন বা নামাজ পড়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) ফক্স নিউজের অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তালেবান সরকারের পাপ ও পূণ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী খালিদ হানাফি এনিয়ে দেশটির মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর পেজে ভয়েস বার্তা পোস্ট করেছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে তিনি মুছে দেন বলে নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা এপি। খালিদ হানাফি বলেছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যখন নামাজ বা কোরআন পড়বেন এবং তখন তার পাশ দিয়ে কোনো নারী গেলে তিনি যেন কোনো শব্দ শুনতে না পারেন। হানাফি জানিয়েছেন, একজন নারীর কণ্ঠস্বরকে ‘আওরাহ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়- যার অর্থ এটি সবসময় গোপন করা উচিত এবং জনসমক্ষে শোনা উচিত নয়। এমনকি কোনো নারীরও অন্য নারীর আওয়াজ শোনা উচিত নয়। আর এই কারণেই এই নিয়ম। তবে খালিদ হানাফি এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি। ফক্স নিউজ বলছে, ইতোমধ্যে তালেবান শাসনের অধীনে আফগানিস্তানের নারীরা প্রকাশ্যে কথা বলতে পারেন না। তাদের মুখসহ পুরো শরীর ঢেকে রাখতে হয়। গত সোমবার হানাফি বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর জন্য অন্য প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সামনে কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। এমনকি আল্লাহু আকবার উচ্চারণ করাও অনুমোদিত নয়। এ ছাড়া গত আগস্টে তালেবান সরকারের পাপ ও পূণ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আরোপিত আইনে বলা হয়েছে, জনসমক্ষে বা বাড়ির ভেতরে নারীরা জোরে কথা বলতে পারবেন না। বাড়িতে এমনভাবে কথা বলতে হবে যেন বাইরে তাদের কণ্ঠস্বর কেউ শুনতে না পারে।