সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চার বছরের সন্তানকে হত্যার পর গলায় ফাঁস নিলেন মা

বগুড়ার কাহালুতে চার বছরের শিশু সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন জুলেখা খাতুন (২৪) নামের এক নারী। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল গ্রামের অটোরিকশাচালক আবদুল মোমিন ২০১৯ সালে জুলেখা খাতুনকে বিয়ে করেন। মুশফিকা তাদের একমাত্র সন্তান। বৃহস্পতিবার সকালে মোমিন অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন।

দুপুরের আগে বাড়িতে ফোন দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের কোনো সাড়া পাননি। তিনি বাড়িতে এসে দেখেন, ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা। খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে কাহালু থানা পুলিশ ওই বাড়িতে আসে। তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন, সন্তান মুশফিকার মরদেহ বিছানায় ও ঘরের আড়ার সঙ্গে জুলেখা খাতুনের মরদেহ ঝুলছে। পরে মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অটোচালক আবদুল মোমিন জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তার কোনো কলহ ছিল না। তবে প্রচণ্ড রাগ ছিল। তার ধারণা, শাসনের জন্য মারধর করলে মুশফিকা মারা যায়। তখন জুলেখা গামছা দিয়ে মেয়ের মুখ বাঁধেন ও গলায় ওড়নার ফাঁস দেন। এরপর আত্মহত্যা করেন। কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহিন জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তের হামলায় দুই সহোদর খুন

চার বছরের সন্তানকে হত্যার পর গলায় ফাঁস নিলেন মা

প্রকাশিত সময় : ০৯:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়ার কাহালুতে চার বছরের শিশু সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন জুলেখা খাতুন (২৪) নামের এক নারী। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল গ্রামের অটোরিকশাচালক আবদুল মোমিন ২০১৯ সালে জুলেখা খাতুনকে বিয়ে করেন। মুশফিকা তাদের একমাত্র সন্তান। বৃহস্পতিবার সকালে মোমিন অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন।

দুপুরের আগে বাড়িতে ফোন দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের কোনো সাড়া পাননি। তিনি বাড়িতে এসে দেখেন, ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা। খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে কাহালু থানা পুলিশ ওই বাড়িতে আসে। তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন, সন্তান মুশফিকার মরদেহ বিছানায় ও ঘরের আড়ার সঙ্গে জুলেখা খাতুনের মরদেহ ঝুলছে। পরে মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অটোচালক আবদুল মোমিন জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তার কোনো কলহ ছিল না। তবে প্রচণ্ড রাগ ছিল। তার ধারণা, শাসনের জন্য মারধর করলে মুশফিকা মারা যায়। তখন জুলেখা গামছা দিয়ে মেয়ের মুখ বাঁধেন ও গলায় ওড়নার ফাঁস দেন। এরপর আত্মহত্যা করেন। কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহিন জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।